ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আসামে বিষাক্ত মদ্যপানে অন্তত ১০২ জন চা বাগান শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আরো প্রায় ৩৫০ জন। দুই সপ্তাহ আগে দেশটির উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে বিষাক্ত মদপানে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির পর আসামে এ ঘটনা ঘটলো।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, অবৈধ উপায়ে তৈরি এসব মদ স্থানীয়ভাবে হুচ এবং দেশী মদ নামে পরিচিত। আসামের গোলাঘাট এবং জোরহাট এলাকায় পৃথক মদ্যপানের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে। এ ঘটনায় রাজ্য সরকার একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।
রাজ্য পুলিশ বলছে, গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার পূর্বাঞ্চলের গোলাঘাটের চা বাগানের অনেক শ্রমিক মদ্যপানে অসুস্থ। ফলে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার রাতে বিষাক্ত মদ্যপান করেছিলেন চা বাগানের কয়েকশ শ্রমিক। মদ্যপানের সঙ্গে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসামের আবগারি শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তা এস পান্ডে বলেছেন, বিষাক্ত মদ্যপানে যারা মারা গেছেন তাদের প্রত্যেক পরিবারকে আসাম সরকারের পক্ষ থেকে ২ লাখ রূপি দেয়া হবে। অসুস্থরা ৫০ হাজার করে রূপি পাবেন।
তিনি বলেছেন, রাজ্যে প্রায় ১৫ হাজার লিটার মদ ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া গোলাঘাট এবং জোরহাট এলাকা থেকে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা হীমান্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, সঙ্কট মোকাবেলায় জোরহাটের হাসপাতালে জেলা ও অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেক ১০ মিনিট পর পর আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে মদ্যপানে অসুস্থ শ্রমিকদের মারা যাওয়ার খবর পাচ্ছি।