স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ভায়রাভাইয়ের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এদিকে কাটা যৌনাঙ্গ নিয়ে আহত শাহজাহান মোল্লাকে হাসপাতালে দুদিন অপেক্ষার পর তৃতীয় দিন ভর্তি করা হয়। বিলম্বের কারণে ছিন্ন যৌনাঙ্গ আর শরীরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জয়নগর শহরে ঘটেছে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা। ছয় মাস আগে উলুবেড়িয়া থেকে জয়নগরে ভায়রাভাই শাহজাহানের বাড়িতে সস্ত্রীক আসেন অভিযুক্ত শফিক মিদ্দা (৪৫)।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, শফিকের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন তিনি। গত সোমবার রাতে শাহজাহানকে স্ত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ধান কাটার কাঁচি নিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কেটে দেন শফিক। রক্তাক্ত শাহজাহানের চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে শফিককে বেদম মারধর করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় শফিককে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও শফিকের দাবি মানতে নারাজ শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘আমি নির্দোষ। আমার স্ত্রীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওই কাজ করেছে শফিক।’
এদিকে সোমবার রাতের ঘটনার পর আহত শাহজাহানকে নিয়ে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে হয়রান হতে হয়। কাটা পুরুষাঙ্গ থলিতে করে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে প্রথমে গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে বারুইপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পার্ক সার্কাসের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গভীর রাতে এসএসকেএম রেফার করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেড নেই বলে শাহজাহানকে পিজি থেকে ফের চিত্তরঞ্জন যেতে বলেন ডাক্তার। শাহজাহানের অভিযোগ, ‘এরপর থেকে মঙ্গলবার রাত অবধি এসএসকেএম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে ঠায় বসে থাকতে হয়।’
পরে বুধবার রাতে কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় জরুরি পর্যবেক্ষণে শাহজাহানের অবস্থা স্থীতিশীল হলেও পুরুষাঙ্গ জুড়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।