সম্প্রতি ভারতে দশ বছর বয়সের এক ধর্ষিতা বালিকা একটি শিশুকন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে ওই নাবালিকাকে গত সাত মাস ধরে এক চাচা বহুবার ধর্ষণ করেছেন। তার ধর্ষণের ফলেই ওই বালিকা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরপর তার পরিবার বুঝে গর্ভপাত করাতে চাইলেও আদালত অনুমতি দেয়নি।
তার সেই চাচাকে আটক করে পুলিশ। পরে আগস্ট মাসে সে একটি সন্তানের জন্ম দেয়। তবে তাকে জানানো হয় তার পেটে টিউমার হয়েছিল। সেটা অপারেশন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঝামেলা এখানেই চুকেবুকে যায় নি। নতুন প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে এবার।
আজ বুধবার দিল্লির এক পুলিশ কর্মকর্তা বিবিসির দিল্লি প্রতিনিধি গীতা পান্ডেকে জানান, বালিকার গর্ভে জন্ম নেওয়া শিশুর ডিএনএ ও ‘ধর্ষক’ চাচার ডিএনএ টেস্টের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে।
তবে সেই প্রতিবেদনে দেখা গেছে নবজাতক শিশু ও ‘ধর্ষক’ চাচার ডিএনএ নমুনায় মিল পাওয়া যায়নি। পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, নতুন আরেকটা প্রশ্ন এবার আমাদের সামনে। ওই বালিকাটিকে অন্য কেউও ধর্ষণ করতো। তিনি বলেন, জন্ম নেওয়া শিশুর পিতা সে কিনা, সেটা ওর জন্য প্রধান বিষয় নয়। সে ধর্ষক। মেয়েটি ভিডিও কনফারেন্সে ওর নাম বলেছে।
ধর্ষিতা মেয়েটি যে গর্ভবতী হয়ে পড়েছে সেটা জানাই গিয়েছিল জুলাই মাসে। সে যখন পেটব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিল তখনতার বাবা-মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। আর চিকিৎসকরা তাকে দেখে জানান সে গর্ভবতী।
ধর্ষিতা মেয়েটির বাবা-মা আগাগোড়াই বলে এসেছেন, তাদের কন্যার গর্ভে যে সন্তান এসেছে তার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তারা কোনো সম্পর্ক চানও না। ফলে সদ্যোজাত ওই সন্তানটিকে পরে দত্তক হিসেবে কোনো দম্পতিকে দেওয়া হবে বলেই স্থির হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি