অনলাইন সুইসাইড গেম ব্লু হোয়েল। গত একবছরে ইন্টারনেটে ব্লু-হোয়েল বিষয়ক সার্চ সবচেয়ে বেশি হয়েছে এই ভারতের কলকাতায়। নানা শব্দের উল্লেখে বারবার খোঁজা হয়েছে অনলাইন গেমটির হদিস। তালিকার প্রথম দশে রয়েছে ভারতের আরও চারটি বড় শহর। এগুলো হলো-গুয়াহাটি, চেন্নাই, মুম্বাই এবং বেঙ্গালুরু।
গুগল ট্রেন্ডের বিস্ফোরক তথ্যে প্রশ্ন উঠছে, এই গেম নিয়ে কেন এত উৎসাহ? শুধুমাত্র জানার ইচ্ছা থেকেই কি তথ্য তালাশ গুগলে? নাকি কোথাও অবসাদগ্রস্ত হয়েই খোঁজ মারণ খেলার? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা। সিটি অব জয়ে, নীল তিমির দাপাদাপিতে চিন্তায় অভিভাবকরাও।
এই গেমের ৫০টি ধাপ। সর্বশেষ পরিণতি মৃত্যু। লেভেল ও টাস্কগুলি ভয়ঙ্কর। গেম যত এগোবে, টাস্ক তত ভয়ঙ্কর হতে থাকবে। প্রথমদিকের টাস্কগুলি মজার হওয়ায় সহজেই আকৃষ্ট হয়ে পড়ে কিশোর-কিশোরীরা। কেউ খেলায় ইচ্ছুক হলে তার কাছে পৌঁছে যায় নির্দেশাবলী। সেইমতো নির্দেশ বা চ্যালেঞ্জগুলি একে একে পূরণ করে তার ছবি পাঠাতে হয় গেম হ্যান্ডলারকে। নিজের হাত কেটে তিমির ছবি এঁকে ছবি তুলে পাঠাতে হয়। এই খেলায় অংশগ্রহণকারীকে হোয়েল বলা হয়। স্বেচ্ছায় তারা এই মারণ খেলায় যোগ দেয়।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের দেওয়া টাস্ক করে এবং ছবি পাঠায়। গেমের শেষে এদেরই আত্মহত্যা করতে বলা হয়। এই খেলার জন্ম রাশিয়ায়। জন্মদাতা ২২ বছরের তরুণ ফিলিপ বুদেকিন। ২০১৩ সালে রাশিয়ায় প্রথম সূত্রপাত। ২০১৫ সালে প্রথম আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। বুদেকিনের দাবি, সমাজ সাফাই করতেই এই গেম ছড়িয়েছে সে।
১৬জন কিশোরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ ওঠে ফিলিপের বিরুদ্ধে। অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের খোঁজে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে #ব্লুহোয়েলচ্যালেঞ্জ, #আইঅ্যামহোয়েল লিখে পোস্ট করলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর তার সঙ্গে যোগাযোগ করে নেয়। মাঝপথে কেউ খেলা ছাড়তে চাইলে, তাকে ব্ল্যাকমেল করে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। প্রিয়জনদের ক্ষতি করার হুমকি দেয় তারা।
এই গেম খেলতে গিয়ে সারা পৃথিবীতে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৫০ জন প্রাণ হারিয়েছে, যাদের বেশিরভাগই কিশোর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ