রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ‘সারেগামাপা’র চ্যাম্পিয়ন সৌম্য চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত রোববার তাকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতার কাশীপুর থানার পুলিশ। ২০১৫ সালে ভারতের জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’র চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সৌম্য।
গতকাল সোমবার শিয়ালদহ এসিজিএম আদালতে তোলা হয় সৌম্যকে। শুনানি শেষে আগামী ১ জুন পর্যন্ত তাকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওইদিন শুনানির পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, অভিযোগকারী ওই ছাত্রীর বাড়ি হাওড়ায়। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে পড়াশোনার করছেন।
ওই ছাত্রী জানান, গান গাওয়ার সূত্রেই সৌম্য চক্রবর্তীর সঙ্গে তার আলাপ হয়। অল্প দিনেই তাদের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। এরপর সৌম্যর মা তাকে একদিন দক্ষিণেশ্বরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেন। খাবার খাওয়ার পর মেয়েটিকে সৌম্য তার নিজের রুমে নিয়ে যান। এ সময় সৌম্য তাকে কোমল পানীয় খেতে দেন।
তার অভিযোগ, সেই কোমল পানীয়র সঙ্গে আগে থেকেই মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে রাখা হয়েছিল। ফলে তা খাওয়ার পর অল্প সময়েই তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ওই সময় সৌম্য তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনার শুরু ২০১৬ সালে।
ওই ছাত্রী আরও অভিযোগ করেন, ওই অবস্থায় সৌম্য তার আপত্তিকর ছবি তোলেন এবং পরে সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। সেই ছবি দেখিয়ে তাকে সৌম্য নানাভাবে ব্ল্যাকমেল করেন এবং আরও একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
পরে গত ৫ মে কাশীপুর থানায় সৌম্যর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। মামলায় সৌম্যর মা এবং তার মামার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সৌমের মা ও মামা দুজনই পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ‘সারেগামাপা’র চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ওই বছরই দীর্ঘদিনের প্রেমিকা রূপসাকে বিয়ে করেন সৌম্য চক্রবর্তী। তারা কলকাতায় থাকেন। তাদের দুই বছর বয়সের এক কন্যাসন্তান রয়েছে।