আমির হোসেন রাব্বি (২৯)। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী শেখের ছেলে। মা-বাবার চোখের মনি। দরিদ্র বাবা-মায়ের দুঃখ লাঘবের একমাত্র ভরসা বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন।
প্রায় ৯ বছর আগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে ঢাকায় যান রাব্বি। ঢাকার বনানীর এফআর টাওয়ারে একটি বিদেশি কোম্পানিতে যোগদান করেন। সুখেই চলছিল তাদের সংসার। মা ছেলের বিয়ের জন্য পিড়াপিড়ি করলে ২০২০ সালে বাবাকে পবিত্র হজ করিয়ে পাকা বাড়ি তৈরি করে বিয়ে করবেন বলে মাকে জানান। কথাগুলো বলতে বলতে মা রত্না খাতুন বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। রাব্বির ছোট বোন মিতা ও ফারজানাসহ এলাকাবাসীর কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে আসছে।
কৃষক আইয়ুব আলী কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, ‘আমার আর হজ করা হলো না। আল্লাহ আমার ছেলের ইচ্ছা পুরণ করলেন না।’ রাব্বির সহকর্মীদের ফোনের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে রাব্বির মৃত্যুর খবর পায় তার মা-বাবা। খবর পেয়ে নিকটতম আত্মীয়রা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে রাব্বির লাশ শনাক্ত করে। বৃহস্পতিবার রাতেই হাসপাতাল থেকে রাব্বির লাশ হস্তান্তর করা হয়। লাশ চরপাড়া গ্রামের বাড়িতে পৌঁছুলে স্বজন ও গ্রামবাসীর আহাজারিতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যর অবতরণা হয়।