বেঁচে ফেরাদের চাওয়া: এমন মৃত্যু আর যেন না হয়

সময়টা যখন ছুঁয়ে থাকে জীবন আর মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, তখন বেঁচে ফেরাটা হয়ে ওঠে অবিশ্বাস্য। যদিও সেই বিভীষিকার ক্ষত শুকাতে সময়ও লাগে বেশ। আর প্রিয়জন হারানোর বেদনা, সেই দুঃখওতো চাইলেই সরানো যায়না। আর তাই বনানীর স্বপ্নপোড়া আগুনে বেঁচে যাওয়াদের একটাই প্রার্থনা এমন মৃত্যু আর না।

ছোট ছোট যে আঙুলে ছুঁয়ে দিয়েছিলেন নিশ্চিন্তে পথচলার মন্ত্র, সময় পেরিয়ে সেই প্রাণ-ই যদি থাকে অনিশ্চিতের দোলাচলে, তখনতো ডুকরে কেঁদে উঠবেই বাবার মন। কী করতে হবে, আর কিইবা করতে হবেনা এমন অস্থিরতায় বাবা যখন ভীষণরকম অসহায় তখনও হয়তোবা সহায় ছিলো সন্তানের প্রতি তাঁর অফুরান প্রার্থনা। আর তাইতো বেঁচে ফিরেছে বুকের মধ্যমনি। তবে সেই ফেরার গল্পেও যে ছিলো মৃত্যুর হাতছানি।

চৈত্রের দুপুরে বনানীর আগুন যে পুড়িয়েছে চৈতীর হৃদয়। হয়তো সময় লাগবে শুকাতে সেই ক্ষতও। মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে, নতুন জীবনের আলিঙ্গনে নিজেকে বাঁধলেও, কিছু প্রিয় মানুষ হারাবার বেদনা যে বাধ মানছেনা কিছুতেই। ঘুমের ঘোরেও যে তাই মৃণালের ঘুম ভেঙে যায় তাদের শব্দহীন পদচারণায়।

স্ত্রী, সন্তানসম্ভবা ছয়মাস পরেই জন্ম নেবে একটি অবুঝ প্রাণ, কিছুদিন পর ডেকে উঠবে বাবা বলে। মনের ভেতর ঘুরপাক খাওয়া এই স্বপ্নগুলোই হয়তোবা মামুনকে যুগিয়েছিলো বেঁচে থাকবার সাহস। ফিরে আসার এই সত্যগুলো শুধু ফিরে আসবার নয় জীবনকে নতুনভাবে দেখবারও। রাষ্ট্রকে নতুন কিছু বলবারও। তাইতো এই তিনজনেরই স্লোগান এভাবে মৃত্যু আর না, রাষ্ট্রও যোগ দিক সেই মিছিলে। সূত্র- চ্যানেল২৪।

ভিডিও

Scroll to Top