বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার রুমকি আক্তার (৩০) ও তার স্বামী মাকসুদার রহমান জেমির (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বাদ জুমা তাদের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রুমকী আক্তারের বাড়ি উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের বিন্যাকুড়ি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আশরাফ আলীর মেয়ে।
স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরি করতেন হেরিটেজ এয়ার এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রাভেল অ্যাজেন্সিতে। এফ আর টাওয়ারের দশম তলায় ছিল তাদের অফিস।
রুমকির বড় ভাই রওশন আলী রনি বলেন, ‘২০১১ সাল থেকে রুমকি ঢাকায় চাকরি করত। তিন বছর আগে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার মাকসুদার রহমান জেমির সাথে রুমকির বিয়ে হয়। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, স্বামী-স্ত্রী আগুনের লেলিহান শিখায় দুজনেই চলে গেল না ফেরার দেশে।’
রওশন আলী আরও বলেন, ‘আমার বোন জামাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি বিকেল ৪টায়, আর বোনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছি রাত ৯টায়। জানতে পেরেছি আমার বোনের মৃত্যু হয়েছে বদ্ধ ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ধোঁয়ায় আর বোন জামাইয়ের মৃত্যু হয়েছে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পথে। রুমকির লাশ ঘরে পাওয়া গেছে, আর বোন জামাইয়ের লাশ বাইরে।’
রুমকির বাবা আশরাফ আলী বলেন, ‘আজ সকালে অ্যাম্বুলেন্সে করে আমার মেয়ের লাশ আনা হয়েছে। বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ, এটি যে কতটা কষ্টের তা আমি উপলব্ধি করতে পেরেছি। আমার মেয়ের কপালে এমনটা লেখা ছিল ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। মেয়ে বলেছে, রোজার আগেই জলঢাকায় আমাকে দেখতে আসবে। ভাগ্যের লেখন সে রোজার আগেই আসলো কিন্তু লাশ হয়ে। আমার খোঁজ- খবর এখন আর কে নেবে। ঢাকা থেকে রোজার আগে আর কে আসবে?’
গতকাল দুপুরে বনানীর এফ আর টাওয়ারে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ২৪ জনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।