রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে গড়ে তোলা হচ্ছে ‘কিশোর বাহিনী’। সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে এ বাহিনী গড়ে তুলছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ৮ বছরের অনাথ শিশুদেরও নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বাহিনীতে। আগামী বছরের মধ্যেই দশ লাখে পৌঁছবে বাহিনীর সদস্য সংখ্যা।
রুশ সরকারের এ কর্মকাণ্ডকে অনেকে নাৎসি জার্মানির অ্যাডলফ হিটলারের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে মেলাচ্ছেন। খবর রয়টার্সের। পুতিন প্রশাসনের দাবি, পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। তাই দেশের সামরিক শক্তি জোরদার করার প্রয়োজন আছে।
২০১৫ সালে রাশিয়ায় ‘কিশোর বাহিনী’ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। বর্তমানে ওই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ। দেশটির সরকারি সূত্রে জানা যায়, আগামী বছরের মধ্যে ‘কিশোর বাহিনী’র সদস্য সংখ্যা দশ লাখ করা হবে।
রাশিয়ার উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের একাংশ প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, দেশের শিশু-কিশোররা মেশিনগানকে ভয় পায়। এমনকি, কিভাবে গ্রেনেড ছুড়তে হয়, তাও জানে না। রাশিয়ায় শিশুবিষয়ক লোকপাল আনা কুজনেৎশোভাও কিশোর বাহিনীতে অনাথ কিশোর-কিশোরীদের নিয়োগে সম্মতি জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী ওলগা ভাসিলিয়েভার মতে, ‘দেশকে বিভিন্ন হুমকির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। শান্তিকামীরা কবিতা এবং ছবি আঁকার ব্রাশ দিয়ে মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে পারবেন না।
তবে সরকারের এমন কার্যকলাপকে সমালোচনা করেছেন অনেকে। পুতিনবিরোধীরা বলছেন, নাৎসি জার্মানিতে অ্যাডলফ হিটলারেরও ‘কিশোর বাহিনী’ ছিল। সোভিয়েত যুগেও অনাথ কিশোর-কিশোরীদের সেনাবাহিনী অথবা গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে নিয়োগ করা হতো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ওই কিশোর-কিশোরীদের হয়ে প্রতিবাদেরও কোনো সুযোগ নেই। তারা এখন সরাসরি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে।