বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুন লাগার পর ঠিক ১ টা ১০ মিনিটে স্ত্রী পলি আক্তারকে ফোন করেন আগুনে আটকা পড়া স্বামী মির্জা আতিকুর ইসলাম। ফোনে বলেন, আমি হয়তো মরে যাচ্ছি তোমরা ভাল থেকো।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬ টায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধানে হাসপাতালে আসা স্ত্রী একথা বলেন।
পলি বলেন, তার স্বামী তাকে ফোন দিয়ে বলেন, আমার অফিসে আগুন লেগেছে। সবাই বের হচ্ছে। আমি বের হতে পাচ্ছিনা। মনে হয় আমি মারা যাবো, আমার জন্য দোয়া কর আর তোমরা ভাল থেকো।
পলি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, তারপর থেকে হাজার বার ফোন দিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। জানি না সে কোথায়, বেঁচে আছে না মারা গেছে।
পলি বলেন, তার স্বামী ওই ভবনের স্ক্যান ওয়েল লজিস্টিক কোম্পানির এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন। ওই ভবনে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছেন তারা।