বাংলাদেশের বেশিরভাগ খাবার চাল বা আটা-ময়দার তৈরি। ভাত-রুটি আমাদের নিত্যদিনের প্রধান খাবার। রুটি তৈরি করা হয় গম থেকে এবং ভাত তৈরি করা হয় চাল থেকে। দীর্ঘদিন ধরে একটি বিতর্ক চলে আসছে–ভাত বেশি স্বাস্থ্যকর, নাকি রুটি! আসুন জেনে নেয়া যাক কোনটি খাবেন।
যদি কার্বোহাইড্রেটের বা ক্যালোরির প্রসঙ্গে বিচার করা হয়, তাহলে দেখা যায় ভাত-রুটির প্রভাব প্রায় একই। এক. ভাত এবং রুটিতে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালরির পরিমাণ সমান।
দুই. ভাত এবং রুটির মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমপরিমাণ থাকে।
তিন. ভাত এবং রুটির মধ্যে সমান পরিমাণে আয়রন থাকে।
তবে অনেক সামঞ্জস্যের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। এক. রুটির মধ্যে ভাত এর তুলনায় বেশি খাদ্যজ তন্তু থাকে ফলে রুটি দীর্ঘক্ষন পেটভর্তি রাখে।
দুই. ভাতের মধ্যে স্টার্চের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি দ্রুত হজম হয়।
তিন. ফোলেট ভাতের মধ্যে বেশি পরিমাণে থাকে এবং রুটির তুলনায় বেশি পরিমাণে জলে দ্রবণীয় ভিটামিন বি ও থাকে।
চার. রুটির মধ্যে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম ভাতের তুলনায় বেশি।
সব দিক থেকে বিচার করে বলতে গেলে ভাতের তুলনায় কিন্তু বেশ কয়েক পা এগিয়ে রাখতে হবে রুটিকে। কিন্তু ভাতেরও অনেক উপকারিতা রয়েছে যা অগ্রাহ্য করা যাবে না। সবচেয়ে ভালো হয় যদি সুস্থ থাকতে চান তা হলে ভাত এবং রুটি দুটিকেই আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন। অতিরিক্ত পরিমাণে রাখার প্রয়োজন নেই। সুস্থ থাকার সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হলো খাবারের পরিমাণ এবং ভারসাম্য বজায় রাখা।