প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। এর দায় নির্বাচন কমিশনের নয়।
বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে নোয়াখালীর ৯টি উপজেলার মধ্যে ৭টিতে আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সিইসি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনসহ আমরাই নির্বাচন করার জন্য একমাত্র হাতিয়ার হলেও সব কিছু নয়। সব কিছু হলো ভোটার বা জনগণ। নির্বাচনে তাদের সম্পৃক্ত করে আইনগতভাবে নির্বাচনের যে নিয়ম-কানুন আছে সেটা প্রতিপালন করতে হবে। এ নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ করানোই হলো বড় কথা। তা যদি না হয় তাহলে নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে, আমাদের আর এ রকম মিটিং ও আলোচনা করার দরকার হবে না।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় নোয়াখালীর যে কয়েকটি উপজেলায় নির্বাচন হবে তা সম্পূর্ণ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম হলেই কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে।
সিইসি বলেন, নোয়াখালীতে মডেল নির্বাচন হবে এবং তা গোটা দেশে প্রশংসনীয় হবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোটগ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের ছাড়াও তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দুলাল তালুকদার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।