তৃতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (২৪ মার্চ) সাত বিভাগের ২৫ জেলায় ১১৬টি উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা।
তৃতীয়ধাপে ১১৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ছিল। কিন্তু ব্যালটে জাল ভোটের অভিযোগ আসায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার সবগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সকাল থেকে স্থগিত রাখা হয়। এছাড়া কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চট্টগ্রামের চন্দনাইশের একটি কেন্দ্রে গোলাগুলি ও হাঙ্গামার ঘটনা ঘটে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই দুই কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন রাখে।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগের দুই ধাপের মতো তৃতীয় ধাপেও চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান— এই তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় দলীয় প্রতীকে। এর বাইরে কাউন্সিলর পদগুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দলীয় প্রতীক ছাড়াই। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ র্যাব, আনসার, এপিবিএন পাশাপাশি বিডিআর ও সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।
তৃতীয় ধাপে ১২৭টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১১৭ উপজেলায়। এর মধ্যে কক্সবাজার সদর ও নরসিংদী সদর উপজেলার নির্বাচন তৃতীয় ধাপ থেকে পিছিয়ে চতুর্থ ধাপে নেওয়া হয়েছে। কুতুবদিয়া ও লোহাগড়া উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছেন আদালত। অন্যদিকে এই ধাপের ছয়টি উপজেলায় সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এসব উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। উপজেলা ছয়টি হলো— বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝড়া, নরসিংদীর পলাশ, চট্রগ্রামের আনোয়ারা, মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ।
তৃতীয় পর্যায়ে সাত বিভাগের ২৫ জেলার ১১৭টি উপজেলায় ১ হাজার ৩৭৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৫৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬০৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এসব উপজেলায় মোট ভোটার ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫৩ হাজার ১৪৮ জন। কেন্দ্র সংখ্যা ১০ হাজার ১৮টি।