নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কখনও হতাশ হবেন না। হতাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না; আমরা জয়ী হবই হব।’
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার দুপুরে সদ্য প্রয়াত কবি আল মাহমুদের শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এ শোকসভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস।
ফখরুল বলেন, ‘আমি সবসময় বলি আমরা কঠিন সময় পার করছি, সময়টা অত্যন্ত কঠিন। এটা কঠিন সময় কিন্তু সহজ সময় হয়ে আসবে যদি আমরা সবাই মনে করি হ্যাঁ আমরা পারব। আমরা এটা করতে পারি, আমরা এ নৈরাজ্যকে দূর করতে পারব আমাদের বুকের উপর যে পাথর আছে সে পাথর সরাতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আল মাহমুদের মতো আমৃত্যু লড়াই-সংগ্রাম করতে থাকি তাহলে আমরা অবশ্যই পারব এবং আমরা জয়ী হব- এ বোধ আনতে হবে। এ বোধ না আনতে পারলে আমরা সফল হতে পারব না।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘কখনো হতাশ হবেন না। হতাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না; আমরা জয়ী হবই হব। এ দেশের মানুষ জয়ী হবে। যে রাজনীতি মানুষের কথা বলে, কৃষকের কথা বলে, যে রাজনীতি এ মাটির কথা বলে, যে রাজনীতিতে মানুষের গন্ধ পায় সে রাজনীতি কখনো পরাজিত হতে পারে না।’
ফখরুল বলেন, ‘অবৈধ সরকার সারা বাংলাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের অধিকার তারা কেড়ে নিচ্ছে। আজকে কবিকে কারাগারে নেয়া হচ্ছে। কবি সাহিত্যিককে কারাগার পাঠানো হচ্ছে। শিল্পী সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। কেউ ভিন্নমত পোষণ করলে তাদের ওপর নির্যাতন নেমে আসে।’
তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে পৃথিবীর বিখ্যাত সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায় ঢাকায় এসেছিলেন। তার যেখানে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর যেখানে গিয়েছিলেন সেখানেও বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কিছুটা ভয়ে ভয়ে বক্তব্য দেন তিনি।’
সাবেক এ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার প্রশ্ন এ জায়গায় যারা আজকে ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না, যাদের মধ্যে ন্যূনতম সহনশীলতাটুকু নেই তারা গণতন্ত্রের কথা বলবে কেন? সরাসরি নর্থ কোরিয়ার কিমের মতো বলা উচিত যে আমি এক দলীয় শাসন বিশ্বাস করি, আমি যা বলব সেটাই আইন-এ কথা বললেই তো হয়ে যায়। একটা ছদ্মবেশ ধারণ করে মানুষকে বিভ্রান্ত করে প্রতারণা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু করা হয়েছে।’
জাসাসের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন-গীতিকার ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, কবি আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ।