ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরসাইকেলের কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায় শিক্ষার্থীদের প্রশ্নেবানে জর্জরিত হয়েছেন পুলিশ সার্জেন্ট রাসেল। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় বিএসএমএমইউ’র সামনে থেকে শাহবাগ থানার দিকে যাওয়ার সময় তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে গাড়ির কাগজপত্র ও লাইসেন্স দেখতে চায় শিক্ষার্থীরা।
সার্জেন্ট রাসেল জানান, ‘সব (কাগজপত্র) আছে, তবে বাসায়।’ এ কথা শুনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যখন বাসায় লাইসেন্স রেখে আসার কথা বলে তখন তো আপনারা শুনেন না, মামলা দেন। আপনার লাইসেন্স বাসায় থাকলে দোষ নাই কেন?’ -এ সময় সমস্বরে সকলে ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করতে থাকেন।
হলুদ পোশাক পরিহিত আরও একজন সার্জেন্টকে আটকালে তিনি জানান, ‘সরকারি গাড়ির কাগজ থানায় জমা থাকে।’ এছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানের লাইসেন্স না পেয়ে ‘ভুয়া, লাইসেন্স নেই’ লিখে শাহবাগ মোড়ে আটকে রাখেন।
বিইউপি শিক্ষার্থী আবরার আহম্মেদ চৌধুরী নিহতের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবার (২০ মার্চ) সকাল থেকে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পর্যায় ক্রমে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর শিক্ষার্থী আবরার আহম্মেদ চৌধুরী নিহত হয়। পরে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ৮ দফা দাবি ঘোষণা করেন এবং বুধবার (২০ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন।