বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর সড়ক দুঘর্টনায় মৃত্যুর প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে ওই সড়কের যান চলাচল বন্ধ করে দেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
সকাল ৮টা থেকেই শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি শুরু কথা থাকলেও সেসময় তাদের উপস্থিতি খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। উল্টো ঘটনাস্থলে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা সকালে জানিয়েছিলেন, জনদুর্ভোগ হয় এমন কোনো কর্মসূচি তারা কাউকে পালন করতে দেবেন না।
তবে সকাল ৯টার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়তে থাকে। তারা পুলিশের বাধা উক্ষেপ করে সড়ক অবরোধ করতে চেষ্টা করেন। ৯টা ২৭ মিনিটে পুলিশ একবার শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু সাড়ে ৯টা বাজতেই আবারও অবরোধ করেন তারা। শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পিছু হটে পুলিশ।
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আইইউবি, এআইইউবি, ইমপেরিয়েল কলেজ ও বিইউপি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বসুন্ধরা গেইটে দুপাশের রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন। এর ফলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মালিবাগ এবং মালিবাগ থেকে বিমানবন্দরগামী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে। যানজটে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন।
পুরো এলাকার নিরাপত্তার বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘পুরো এলাকার নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। আমরা নিরাপত্তার বিষয়ে নজরদারি রাখছি। অপ্রীতিকর যে কোনো ঘটনা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।’
এর আগে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে রাস্তা পার হওয়ার সময় রাজধানীর প্রগতি সরণিতে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় আবরার আহমেদ চৌধুরী নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালে (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়তেন।
আবরারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিউপির শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে নিজেদের দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। ঢাো উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এসে তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা শোনেননি শিক্ষার্থীরা।
এই ঘটনায় মঙ্গলবারই আটক করা হয় আবরারকে চাপা দেওয়া বাসটির চালক সিরাজুলকে (২৫), জব্দ করা হয়েছে ঘাতক বাসটিও।