ওয়ানডে ফরম্যাটে ১৯৯২ সালের আগে ছিল না ক্রিকেটারদের জার্সিতে কোনো নাম ও জার্সি নম্বর। টেস্টের মতো ওয়ানডে খেলা হতো সাদা জার্সিতে। ১৮৭৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সব টেস্ট খেলা হয়েছে সাদা জার্সিতে। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪২ বছরের ইতিহাসে যা হয়নি, আগামী আগস্টে হতে যাচ্ছে সেটাই। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির মতো টেস্টেও ক্রিকেটারদের জার্সিতে থাকবে নাম ও নম্বর।
জার্সিতে নাম ও নম্বরের নিয়মটি ১ আগস্ট থেকে চালু হবে। এই নিয়মের অধীনে মাঠে নামা প্রথম দুটি দল হবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। যারা টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ম্যাচটি খেলেছিল। এর আগে ২০০১ সালে টেস্টের টুপিতে নম্বর জুড়ে দেওয়ার প্রথা চালু করে ইংল্যান্ড। এরপর বাকি দেশগুলো তা অনুসরণ করে।
১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো নাম লেখা রঙ্গিন জার্সি পরে মাঠে নামে দলগুলো। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে জার্সিতে যোগ হয় নম্বর।
টেস্ট ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করতে গত কয়েক বছরে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে আইসিসি। এই বছর শুরু হতে যাওয়া টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখেই টেস্টের জার্সিতে নাম ও নম্বর আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অ্যাশেজ সিরিজ এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে মাঠে গড়াবে। আগস্টের এক তারিখ এজবাস্টনে শুরু হতে যাওয়া প্রথম অ্যাশেজ টেস্টেই এরকমটা দেখা যাবে।
টেস্ট ক্রিকেটকে আরও জনপ্রিয় করতে সম্প্রতি বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছে খেলাটির আইন প্রণেতা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। মাঠে খেলোয়াড়দের আরও সহজে চিনতেই এই প্রস্তাবনা। ক্রিকেটাররা ১ থেকে ৯৯ এর মাঝে জার্সি নম্বর নিতে পারবেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়ানডে জার্সিতে যে নম্বর আছে, সেটাই তারা টেস্টেও নেবেন।
এ বছর অ্যাশেজ সিরিজে খেলোয়াড়দের নাম ও নম্বর সংবলিত জার্সি তৈরির কাজে হাত দিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অপারেশনস বিভাগ, জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।