বোনের বিয়ের শপিং করতে যাচ্ছেন বলে রবিবার বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় মডেল রুবাব শফিক। অনেকক্ষণ পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন করাচি থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপরই মডেল রুবাব শফিকের খোঁজে নামে করাচি পুলিশ। কিন্তু খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে সোমবার তার মরদেহ পাওয়া গেল একটি কবরস্থানে।
ওই দিনই ময়নাতদন্ত করে পুলিশ নিশ্চিত হয়, ইঞ্জেকশন দিয়ে একরকম জোর করে চেপে ধরে রুবাবের গর্ভপাতের চেষ্টা করা হয়েছিল। পদ্ধতিগত ভুলের কারণেই তার মৃত্যু হয়।
রুবাব মারা গেছেন বুঝতে পেরে থানা-পুলিশ এড়াতে হাসপাতালের কর্মীরা রাতের অন্ধকারে তার নিথর দেহ বস্তায় ভরে ফেলে আসে ওই কবরস্থানে।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসপাতালের দুই কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হাসপাতালের এক কর্মী পুরো ঘটনাটি দেখেছিলেন। তিনিই পুলিশকে সব জানান। এছাড়া ওমর নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ।
হাসপাতালের কর্মীরা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই ব্যক্তি ছাড়াও আরও দুইজন যুক্ত রয়েছে রুবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই নির্মমতার কাজে। তাদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে করাচি পুলিশ।