প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পেযেও গণভবনে যাননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হল ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী লামইয়া তানজিন তানহা। গতকাল ডাকসুর নির্বাচিত সব প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেও তিনি সেখানে যাননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু)নির্বাচনে জয়ী ভিপি নুরুল হক নুর পুনঃনির্বাচন দাবি করলেও তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন।নির্বাচন নিয়ে অনেকেই নাখোশ হলেও সবাই গণভবনের দাওয়াতে সাড়া দেন। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম শুধু তানহা।
গণভবনে না যাওয়া প্রসঙ্গে তানহা বলেন, আমি নিজেকে পুরো ক্যাম্পাসের প্রতিনিধি মনে করি। এ ক্যাম্পাসের একজনের ভোটাধিকার হরণ করা হলেও এ নির্বাচন বর্জন করা আমার কর্তব্য বলে আমি মনে করি। এই ভাবনা থেকে এই আমন্ত্রণ রক্ষা করা হয়ে ওঠেনি।
আমন্ত্রণ পেয়েছেন জানিয়ে তানহা বলেন, সুফিয়া কামাল হলের নির্বাচিত ঘোষণা করা ভিপি সুমা তাকে ফোন করে দাওয়াতের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে গণভবনে যাওয়াটা নৈতিকতাবিরোধী উল্লেখ করে তানহা বলেন, ডাকসু নির্বাচনে যখন কারচুপি হল তখনই আমরা আমাদের প্যানেল থেকে বর্জনের ঘোষণা দেই। তারপর ফলাফল ঘোষণার পর আবার যখন দেখলাম আমি জয়ী হয়েছি তখনও আমি এ ফল প্রত্যাখ্যান করি। আমি প্রথমে নির্বাচন বর্জন করেছি, পরে পদত্যাগ করেছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তানহা সুফিয়া কামাল হল সংসদে সদস্য পদে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট- প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের প্যানেল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।তিনি সদস্য পদে ৮৪১ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তবে সামগ্রিকভাবে পুরো ডাকসু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেন এই উদীয়মান নেতা। ।
শনিবার বিকাল ৪টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডাকসু নেতারা। ডাকসু নেতাদের নিয়ে বেলা পৌনে ২টার দিকে ৪টি মিনিবাস আর ৬টি বাস রওনা দেয়।
প্রসঙ্গত, ২৮ বছর পর গত ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, জালভোট, কারচুপি, কেন্দ্র দখল ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি প্যানেল তা বর্জনের ঘোষণা দেয়। নির্বাচনে ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ২টি পদে কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুই নেতা ছাড়া বাকি ২৩টি পদে ছাত্রলীগের প্যানেল জয়ী হয়।নির্বাচন বাতিল চেয়ে পুনঃতফসিল দাবিতে আন্দোলন করছে বর্জনকারীরা।