নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় মোট ১০ বাংলাদেশি হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুইজন নিহত, পাঁচজন আহত ও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। নিহত, আহত ও নিখোঁজদের নামও জানান তিনি।
শনিবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিস) অডিটোরিয়ামে এক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান। ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ’র (ডিকাব) ২১তম বার্ষিকী উপলক্ষে ওই সেমিনারে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
এর আগে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় এ ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হন।
আজ প্রতিমন্ত্রী জানান, তিনজন নয়, দুজন মারা গেছেন। তারা হলেন- স্থানীয় লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবদুস সামাদ এবং হোসনে আরা ফরিদ (গৃহিণী)। আবদুস সামাদের স্ত্রী সানজিদা আকতার নিখোঁজ ছিলেন। পরে জানা গেছে, তিনি জীবিত আছেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন লিপি ও মুমতাসিন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনজন হলেন শেখ হাসান রুবেল, শাহজাদা আক্তার ও ওমর ফারুক। নিখোঁজ তিনজন হলেন মোজাম্মেল হক, জাকারিয়া ও শাওন।
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে শুক্রবার গুলি চালান ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নামে এক অস্ট্রেলীয়। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯ জন। আহত হন ৪৮ জন। ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে মুসল্লিদের ওপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলা চালান ব্রেনটন। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বেঁচে যান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। কাছাকাছি লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। আল নূর মসজিদে ৪১ জন ও লিনউড মসজিদে সাতজন নিহত হন। একজন হাসপাতালে মারা যান।