নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে গুলিতে ৪৯ জনকে হত্যার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ব্রেন্টন টারান্টকে শনিবার আদালতে হাজির করা হয়েছে।
শনিবার সকালে ক্রাইস্টচার্চের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হাজির করার সময় হাসছিলেন ব্রেন্টন। আদালতে হেসে হেসে ‘হোয়াইট পাওয়ার’ চিহ্ন দেখান এই হামলাকারী।
ব্রেন্টন টারান্টের গায়ে সাদা রঙয়ের শার্ট এবং হাতে হাতকড়া ছিল। আদালতে ঢোকার সময় ক্যামেরার সামনে তিনি ‘ওকে’ চিহ্ন দেখান এবং তাকে হাসতে দেখা যায়।
আদালত ব্রেন্টনকে রিমান্ড দিয়েছেন এবং আগামী ৫ এপ্রিল তাকে হাইকোর্টে হাজির করার আদেশ দেওয়া হয়।
ব্রেন্টন টারান্টের বিরুদ্ধে একটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার রক্তবন্যায় ভাসে শান্তির দেশ নিউজিল্যান্ড। দেশটির অন্যতম নগরী ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যাওয়া মুসল্লিদের ওপর এক শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থির নির্বিচারে গুলিতে ৪৯ জন নিহত হয়। নিহতের মধ্যে নারীসহ তিন বাংলাদেশি রয়েছেন।
এটাই পশ্চিমা দুনিয়ায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ ও বড় হামলা। সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে যে মসজিদটিতে, সেখানে নামাজ আদায়ে যাচ্ছিলেন নিউজিল্যান্ড সফরকারী বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। অল্পের জন্য রক্ষা পান তারা।
অস্ট্রেলীয় নাগরিক ব্রেন্টন টারেন্ট (২৮) একাই দুটি মসজিদে হামলা চালায় বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন ৪৮ জন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি।