সম্প্রতি ইনজুরির কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতে পারেন পারেননি, এশিয়া কাপেও খেলতে পারেননি, যাননি চলতি নিউজিল্যান্ড সিরিজেও। শুধু তাই নয় জাতীয় দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ ও ম্যাচ খেলা হয়নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। কারণ একটাই- ইনজুরির প্রবণতা। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের বেলাও একই কথা। ইনজুরির কারণে দেশের নির্ভরযোগ্য এই পেসারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ ও ম্যাচ খেলা হয়নি।
দেশের এই দুই তারকা বিভিন্ন সময় দেশের বাইরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টে অংশ নেন। ইনজুরির প্রবণতার কারণে মোস্তাফিজকে এসব টুর্নামেন্টে খেণতে অনাপত্তি দেয়া হয়নি, ফলে আইপিএলসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেন না তিনি। তবে এসব টুর্নামেন্ট খেলতে বাধা নেই অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের।
বাংলাদেশ মনে করছে সামনে ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর ওয়ানডে বিশ্বকাপ, সাকিবের মতো খেলোয়াড়কে তারা কোনো ভাবেই মিস করতে যান না। আঙ্গুলের গুরুত্বপূর্ণ চোটের কারণে তিনি নিউজিল্যান্ড সফরের কোনো ম্যাচেই অংশ নিতে পারেননি। তবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির অধিনায়ককে দেখা যাবে আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলতে। এই খেলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদি আইপিএলে খেলতে গিয়ে সাকিব আবার চোট পান কিংবা পুরনো চোট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তা হলে?
আবার দুই খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে বিসিবির ‘দুই নীতি’ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বারবার ইনজুরি প্রবণতার কারণে ২ বছরের জন্য মোস্তাফিজুর রহমানকে বাইরের ফ্র্যাঞ্চাইজি কোনো লিগে খেলতে দেবে না বিসিবি। আইপিএলের এবারের আসরে তাই খেলা হচ্ছে না বাঁহাতি পেসারের। অথচ বারবার ইনজুরিপ্রবণ সাকিবের ভারতের এই টুর্নামেন্টে খেলতে কোনো সমস্যা দেখছে না বিসিবি।
বিসিবি পরিচালক ও সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস এই নিয়ে বিব্রত। বুধবার ক্রিকেট বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে সাকিবকে আইপিএলে খেলার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কতটুকু খেলবে কী করবে, ওভাবে প্রটেক্ট করেই খেলতে হবে। হয়তো কিছু ম্যাচ খেলল, কিছু না খেলে চলে আসতে পারে।’
‘আমরা কোনো প্লেয়ারকে মানা করতে পারব না যে তুমি খেলতে যেতে পারবে না। যদি বোর্ড মনে করে সে ফিট, তা হলে সে যেতে পারে। অথচ দেশের মাটিতে চলমান ডিপিএলে খেলছেন না সাকিব।’
জালাল ইউনুস ঢাল হয়েই দাঁড়ালেন সাকিবের। তার পক্ষাবলম্বন করে বললেন, ‘ ডিপিএলে জাতীয় দলের কোনো প্লেয়ারকে আমরা সুযোগ দেইনি। সাকিব প্রিমিয়ার লিগ খেলতে চাচ্ছিল। আমরা অ্যালাউ করিনি যেহেতু ন্যাশনাল টিমের প্লেয়ার রাখিনি।’