রোহিঙ্গাদের নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করা বিদেশি সংস্থাগুলো গত ছয় মাসে ১৫০ কোটি টাকা হোটেল বিল দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। আর ভুক্তভোগী রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দের ২৫ শতাংশের বেশি এই সংস্থাগুলো ব্যয় করেনি বলেও জানান মন্ত্রী।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর গঠিত নতুন আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির প্রথম বৈঠকের পর আজ বুধবার মোজাম্মেল হক এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে আমরা লক্ষ্য করেছি সেখানে কিছু এনজিও আছে, অনেক এনজিওই ধারণা করা হচ্ছে, আমাদের গোয়েন্দা রিপোর্টেও সেগুলো লক্ষ করছি ‘ইল মোটিভ’ নিয়ে কাজ করে। আপনারা শুনলে অবাক হবেন সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত হোটেল বিল দিয়েছে দেড়শ কোটির বেশি টাকা, আর ফ্ল্যাট বাড়ির ভাড়া দিয়েছে আট কোটির বেশি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এনজিওগুলো বিদেশ থেকে যে টাকা আনে সেটা যারা ভুক্তভোগী অর্থাৎ রোহিঙ্গা তাদের জন্য ২৫ শতাংশও খরচ হয় না। ৭৫ শতাংশ খরচ করা হয় দেখাশুনা করার জন্য যারা আসে, উনাদের জন্য।’
এ বিষয়টি খুব দুঃখজনক মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা আরও খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা বাহিনীকে বলেছি বাস্তব অবস্থা কী তা বের করতে। যে অভিযোগ পেয়েছি তা যথাযথ নিরূপণের জন্য তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।’
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক মাসের মধ্যে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা ও দেশ সাড়া দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি ইউএনএইচসিআরসহ বিভিন্ন বিদেশি এনজিও কাজ করছে।