শুক্রবার রাঁচির ঝারখন্ড স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে খেলতে নেমে দারুণ এক নজির স্থাপন করেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। গত মাসে কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সেনাসদস্যদের স্মরণে ‘আর্মি ক্যাপ’ পরে খেলেছিলেন কোহলি-ধোনিরা।
এর পাশাপাশি দেশের মানুষকে জাতীয় প্রতিরোধ ফান্ডের জন্য অনুদান দিতে অনুপ্রাণিত করাও ছিলো ভারতীয় দলের লক্ষ্য। যাতে করে শহীদ পরিবারের সন্তানদের পড়ালেখার দায়িত্ব নেয়া যায়।
বিশেষ এই আর্মি ক্যাপ পরার ব্যাখ্যায় টসের সময় ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেন, ‘এটা একটা বিশেষ ক্যাপ। আমরা এর মাধ্যমে পুলওয়ামাতে হামলার শিকার হয়ে নিহত সেনা সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর এবং তাদের পরিবারের পাশের দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আমি, ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে দেশের সবাইকে অনুরোধ করবো যেন সবাই ন্যাশনাল ডিফেন্স ফান্ডের জন্য যথাসাধ্য অনুদান দেন, যাতে করে নিহত সেনা সদস্যদের সন্তানদের পড়ালেখার কাজে তা ব্যয় করা যায়।’
কিন্তু এ ঘটনাটি মানতে পারছেন না পাকিস্তান সরকারের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। তার মধ্যে এমন কাণ্ড করার মাধ্যমে ভদ্রলোকের ক্রিকেটকে কলুষিত করেছে ভারত। তাই তিনি ভারতের বিপক্ষে আইসিসির যথাযথ পদক্ষেপ দেখতে চান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোহলিদের আর্মি ক্যাপ পরা একটি ছবিসহ টুইটে ফাওয়াদ লিখেন, ‘এটা শুধুমাত্র ক্রিকেটীয় কারণে হতে পারে না। আমি আশা করছি ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটের মধ্যে রাজনীতি ঢুকিয়ে কলুষিত করার দায়ে আইসিসি ভারতের বিপক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। যদি ভারতীয় ক্রিকেটাররা এমন করা বন্ধ না করে, তাহলে আমি বলবো পাকিস্তানেরও উচিৎ কালো ব্যান্ড পরে খেলতে নামা। যাতে করে কাশ্মীরে ভারতের অত্যাচারের কথা বিশ্ববাসীকে জানানো যায়। আমি পিসিবিকে বলবো এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করতে।’
এদিকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের আর্মি ক্যাপ পরার ঘটনাটি সমাদৃত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। ক্রিকেট ভক্ত-সমর্থকরা বাহবা-ই দিয়েছেন কোহলিদের এমন সিদ্ধান্তকে। কিন্তু তা মানতে পারছে না পাকিস্তান। এখন এর বিরুদ্ধে আইসিসি কোনো পদক্ষেপ নেবে কি-না অথবা পিসিবি কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করে কি-না তা সময়ই বলে দেবে।