বসগিরি দিয়ে শুরু, এরপর একে একে তারা অভিনয় করেছেন শুটার, রংবাজ, অহংকার, চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়া, সুপার হিরো এবং ক্যাপ্টেন খান ছবিতে। যারা ঢাকাই ছবির খোঁজখবর রাখেন তারা নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন, বলা হচ্ছে ঢাকাই ছবির সফল ও বহুল আলোচিত জুটি শাকিব খান আর শবনম বুবলীর কথা। সংবাদপাঠিকা থেকে চিত্রনায়িকা বনে যাওয়া বুবলী এখন পর্যন্ত সব ছবিতেই নায়ক হিসেবে পেয়েছেন ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবকে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার পাসওয়ার্ড ছবিতে শাকিবের নায়িকা হয়েছেন বুবলী। এই মুহূর্তে ছবির শুটিং নিয়ে রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন ছবির দলের সদস্যরা। এর মধ্যেই অবাক করার মতো এক ঘটনা ঘটালেন শাকিব-বুবলী। একটানা ২৭ ঘণ্টা শুটিং করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বুবলী। শাকিবও কম যান না। ঘণ্টার হিসেবে বুবলীর চেয়ে একটু পিছিয়ে থাকলেও টানা ২৪ ঘণ্টা পাসওয়ার্ড ছবির শুটিং চালিয়ে গেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই তারকা অভিনেতা।
নায়ক শাকিব খানের নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মসের (শাকিব খান ফিল্মস) ব্যানারে পাসওয়ার্ড ছবিটি নির্মাণ করছেন গুণী চলচ্চিত্র পরিচালক মালেক আফসারী। চলতি মার্চ মাসের শুরুর দিন শুরু হয় পাসওয়ার্ড ছবির শুটিং। প্রথম দিন বুবলী ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেও শুটিং করেননি শাকিব। তিনি বুবলীর সঙ্গে বিএফডিসিতে শুটিং শুরু করেন ৫ মার্চ সকাল ৭টায়। অবিশ্বাস্য শোনালেও পরদিন সকাল ৭টা পর্যন্ত টানা শুটিং করেন শাকিব। আর শাকিবকে টেক্কা দিয়ে আরও তিন ঘণ্টা বেশি শুটিং করেন বুবলী।
এছাড়া টানা ২৭ ঘণ্টা কাজ করে বিরল নজির গড়েন পরিচালক মালেক আফসারীসহ ছবির দলের সদস্যরা। বুধবার সকাল ১০টায় শুটিং শেষ করে যে যার মতো বিশ্রামে চলে যান। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় আবার শাকিব-বুবলীসহ সবাই শুটিংয়ে যোগ দেন।
এ প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ছবির দলের সবার সঙ্গে মিলে মঙ্গলবার সকালে শুটিং শুরু করি। এরপর শুধু শুটিং আর শুটিং! কাজে এতটাই ডুবে ছিলাম যে, বুঝতেই পারিনি কখন দিন পেরিয়ে রাত আর রাত পেরিয়ে দিন হয়ে গেছে! ক্লান্তি অনুভব করলেও সেটাকে পাত্তা না দিয়ে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শুটিং চালিয়ে গেছি। ক্লান্তির এতটুকু ছাপ পড়তে দিইনি অভিনয়ে, পূর্ণ উদ্যমে প্রতিটি শট দিয়েছি। এভাবে চোখের পলকে টানা ২৭ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে।