প্রায় ৩০ বছর আগে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমদের নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। সেই নাটকে বাকের ভাই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বর্তমানের সাংসদ আসাদুজ্জামান নূর। আর মুনা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুবর্ণা মুস্তফা।
একাদশ জাতীয় সংসদে সুবর্ণাকে সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি করে সংসদে আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে জাতীয় সংসদে আবার মুখোমুখি বাকের ভাই ও মুনা। এই ঘটনায় স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন \’বাকের ভাই\’।
বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফাকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে আসাদুজ্জামান নূর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। বক্তব্যের শুরুতেই জনপ্রিয় অভিনেতা, সাংসদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর ৩০ বছর আগে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত জনপ্রিয় নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’-এর প্রসঙ্গ তোলেন।
বরকত উল্লাহর পরিচালনায় সেই নাটটিতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। আর মুনা চরিত্রে অভিনয় করেন সুবর্ণা মুস্তফা। নাটকটিতে নানা ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত ফাঁসি হয় বাকের ভাইয়ের। প্রিয় চরিত্রের এমন পরিণতি মেনে নিতে পারেননি দর্শকরা। পরিচালকের এমন সিদ্ধান্তে রাস্তাঘাটে প্রতিবাদ মিছিল হয়। এমনকি কোথাও কোথাও কুলখানিরও আয়োজন হয়।
সংসদে বক্তব্যের শুরুতে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, \’বক্তব্যের শুরুতে একটু ৩০ বছর পেছনে তাকাতে চাই। আজ আমি নস্টালজিক (স্মৃতিকাতর) হয়ে পড়েছি। আমার অভিনীত ‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকে আমার (বাকের ভাইয়ের) ফাঁসি হয়। তখন সেই মুনা (সুবর্ণা মুস্তফা) নিঃসঙ্গ নায়িকায় পরিণত হয়। তবে আজ তিনি আর নিঃসঙ্গ নন। মহান সংসদে সাড়ে তিনশ’ সংসদ সদস্যের সঙ্গে বসে আছেন। আর সেই বাকের ভাই চরিত্রে অভিনয় করা আমি, আপনার (মুনা) সামনে দাঁড়িয়ে আছি।\’
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, \’আজ যে ঘটনাটি সংসদে ঘটলো, হুমায়ূন আহমেদ সেটা সেই সময় নাটকে করতে পারেননি। আজ তা বাস্তবে রূপ নিলো। সেই চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করা শিল্পী সুবর্ণা মুস্তাফা, আমাদের সংসদ সদস্য। আর এমন সুযোগ করে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমার ব্যক্তিগত ও শিল্পী সমাজের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।\’