পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নাম নিতে গিয়ে সংসদে কাঁদলেন বাগেরহাট-২ আসন থেকে নির্বাচিত শেখ হেলাল উদ্দীনের ছেলে এমপি হয়ে প্রথমবারের মতো সংসদে আসা শেখ তন্ময়। তাদের নাম নিতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ায় স্পিকারের কাছে দুঃখও প্রকাশ করেন তিনি। বুধবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষনের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন তিনি। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ তন্ময় বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ১৪ বছর কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে ছিলেন। তিনি কোনো মহা দার্শনিক ছিলেন না, মহাপণ্ডিতও ছিলেন না। কিন্তু মহা দার্শনিক ও পণ্ডিতরাও যা করতে পারেননি তিনি তা করেছিলেন। যার প্রমান ৭ মার্চের ভাষণ। যা ইউনোস্কো থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আবেগ কাটিয়ে তিনি বলেন, আমাদের এ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক আর কর্মসংস্থান। কর্মসংস্থান নিয়ে বিভিন্ন সময় বলে আসা হয়, অনেকে অনেক জ্ঞানবুদ্ধি দিয়ে থাকে টক শোতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে যখন তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটতে যাচ্ছে সেই সময় ১ কোটি লোক মাদকে জড়িত। মাদকে আসক্ত হয়ে আছে তারা। যারা মাদকের ব্যবসা করে তাদেরকে কোনো ভাবেই নরমভাবে দেখলে হবে না। যারা সেবনকারী তারা তো আমাদেরই ভাই-বোন। আমাদের ইশতাহার অনুযায়ী মাদকসেবীদের সাধারণ জীবনে ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে। জাপান বাংলাদেশে থেকে তরুণ নিতে আগ্রহী। কিন্তু ৫ কোটি তরুণের মধ্যে যদি ১ কোটি তরুণ মাদকাসক্ত হয় সেখানে এ ব্যাপারে পলিসি দরকার, মান্টার প্ল্যান দরকার এবং আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন।