সম্প্রতি স্বপরিবারে ব্যাংকক থেকে ফিরেই বাঁহাতের অনামিকায় এক্সরে করিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এক্সরে রিপোর্ট দেখে চিকিতসক জানিয়েছেন, আরও এক সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে দেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলপতিকে।
সোমবার (৪ মার্চ) রাতে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ডিপিএল টি-টোয়েন্টির পুরষ্কার বিতরণীর পর একথা জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘আমি আজকে শুনলাম গতকালকে একটা এক্সরে করেছে। এখন তাকে আরও ৭ দিনের বিশ্রাম দিয়েছে।’
এক সপ্তাহের বিশ্রাম মানে ১২ মার্চ পর্যন্ত সাকিব বল হাতে নিতে পারছেন না। এতে করে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি তার নিশ্চতভাবেই খেলা হচ্ছে না। যেহেতু ম্যাচটি ওয়েলিংটনে গড়াবে ৮-১২ মার্চ।
কিন্তু ১৬ মার্চ থেকে ক্রাইস্টচার্চে শুরু হওয়া তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটিতে তাকে পাওয়া যাবে সেই ইঙ্গিত প্রচ্ছন্নভাবে হলেও দিয়ে রেখেছেন পাপন। তবে বিশ্বকাপের বিষয়টি মাথায় রেখে তার সুস্থতাকেই অগ্রাধীকার দিচ্ছেন বিসিবি সভাপতি।
তিনি যোগ করেন, ‘আমি মনে করি তৃতীয় টেস্টে যে সাকিবকে খেলতেই হবে এমন কিছু না। কারণ সামনেই বিশ্বকাপ। তার যদি সমস্যা থাকে, আমরা চাই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে খেলায় ফিরে আসুক। আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না।’
যদি এমন হলো সাকিব তৃতীয় ম্যাচটিও খেলতে পারছেন না। কিন্তু মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে অনুষ্ঠেয় আইপিএলে খেলতে তিনি বোর্ডের কাছে অনাপত্তি পত্র (এনওসি) চাচ্ছেন, তখন কী সিদ্ধান্ত নেবে বিসিবি?
সংবাদ মাধ্যমের করা এমন প্রশ্নের জবাবে পাপন জানালেন, ‘সে যদি সম্পূর্ণ সুস্থ না হয় তাহলে আইপিএল খেলবে কীভাবে? মানে এমন তো হতে পারে না, আমাদের জাতীয় দলের জন্য সে (সাকিব) অসুস্থ কিন্তু আইপিএলের জন্য সুস্থ! যদি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়, ডাক্তাররা বলে খেলতে পারবে তাহলে খেলবে। আমরা তো চাই সে খেলুক।আইপিএলও খেলুক, জাতীয় দলের জন্যও খেলুক।’
বিপিএল ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে বাঁহাতের অনামিকায় পাওয়া চোটে নিউজিল্যান্ড সফরে যেতে পারেননি সাকিব। বিসিবি চিকিতসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছিলেন চোট পাওয়ার তিন সপ্তাহ পর তার চোটাক্রান্ত আঙুলে এক্সরে করা হবে। এরপর জানা যাবে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে তিনি আদৌ খেলতে পারবেন কী না। তিন সপ্তাহ ইতোমধ্যেই অতিবাহিত হয়েছে।