আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখে ফিরে গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রোববার বিকেল ৪টা ২৪ মিনিটের দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আসেন।
প্রায় ১৮ মিনিট ওবায়দুল কাদেরের পাশে কাটিয়ে বিকেল ৪টা ৪২ মিনিটের দিকে রাষ্ট্রপতি হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
রাষ্ট্রপতির আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর বের হয়ে যায়।
সকালে অসুস্থ হলে ওবায়দুল কাদেরকে এই হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার এনজিওগ্রাম করা হলে হার্টে চারটি চেম্বার ব্লক ধরা পড়ে। জরুরি ভিত্তিতে একটিতে আমেরিকান সেনারজি কোম্পানির একটি রিং পরিয়ে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়া হচ্ছে।
রোববার দুপুর ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) প্রো-ভিসি অধ্যাপক শহীদুল্লাহ সিকদার ও কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলী আহসান জানান, ওবায়দুল কাদেরের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তার স্বাস্থ্যের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
এ সময় ডা. সৈয়দ আলী আহসান বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড বসেছিল। এই বোর্ডের সিদ্ধান্ত, তাকে এখন যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে, সিটি সর্বাত্মক। যেহেতু উনি ভেন্টিলেটরে আছেন, জীবন শঙ্কা আছে বলতে পারেন।’
এই মুহূর্তে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না। এখন শারীরিক যে অবস্থা, তাতে আপাতত তাকে বিদেশ নেয়া সম্ভব নয়।’
ওবায়দুল কাদেরের অসুস্থতার খবরে দলের নেতাকর্মীরা সকাল থেকে হাসপাতালে ভিড় করছেন। ইতোমধ্যে হাসপাতালে এসেছেন আমির হোসেন আমু, ঢাকা উত্তর মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, জাহাঙ্গীর তবির নানক, হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপনসহ সিনিয়র নেতারা।