বন্দী পাইলটকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে ইসলামাবাদের সিদ্ধান্ত সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানাতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু তিন দফায় ফোন করার পরও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের কেউ ফোন তোলেননি।
মোদিকে বারবার ফোন করেও কোনো সাড়া না মেলায়, পরে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে ভারতীয় পাইলটের মুক্তির ঘোষণা দেন ইমরান খান। শান্তির বার্তা দিতেই ইসলামাবাদ এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
পার্লামেন্টে ইমরান খান জানান, উত্তেজনা কোনো দেশেরই প্রত্যাশিত বিষয় নয়। ভারত, পাকিস্তানের জন্যও নয়। এজন্য তিনি নিজেই বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। তবে প্রতিবারই ব্যর্থ হন তিনি।
উত্তেজনা কমাতে পাকিস্তানের প্রচেষ্টাকে দুর্বলতা হিসেবে না ভাবতেও ভারতের প্রতি আহ্বান জানান ইমরান খান। তার ভাষায়, ‘একে ভুল বার্তা হিসেবে নেওয়া ঠিক হবে না।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো অবশ্য বলছে, শান্তির বার্তা নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের চাপের মুখেই আটক ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান।
গত মঙ্গলবার ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশ করে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করে। পরদিন বুধবার সকালে দু’টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে এক পাইলটকে বন্দী করে পাকিস্তান। এরপর শান্তির বার্তা দিয়ে পাকিস্তান পার্লামেন্টে ইমরান খান ভারতের পাইলটকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরই অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দেয় পাকিস্তান।