সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় নিলেন আলোর ফেরিওয়ালা পলান সরকার। নিজের পাঠাগারের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত হন একুশে পদকপ্রাপ্ত এ গুণী ব্যক্তিত্ব।
এর আগে নিজ বাড়িতে শেষবারের মতো তাকে দেখতে ছুটে আসেন ভক্ত অনুরাগী ও বই প্রেমীরা। অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে পলান সরকারের \’আন্দোলন\’ আরো বিস্তৃত হওয়ার প্রত্যাশা বিশিষ্টজনদের।
আলোর ফেরিওয়ালা পলান সরকারকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে, শনিবার সকালে রাজশাহীর বাউসার পূর্বপাড়ায় তাঁর বাড়িতে একে একে সমাবেত হন পাঠক, বইপ্রেমীরা। তার বিদায়ে শোকাবহ পুরো এলাকায়।
এরপর, সকাল সাড়ে ৯টায় পলান সরকারের মরদেহ নেয়া হয় নিজের প্রতিষ্ঠিত হারুন আর রশিদ দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পাঠকরা। এ সময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তাঁকে শেষবারের মত ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে, সকাল সাড়ে ১০টায় স্কুল মাঠেই তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন হাজারো মানুষ। পরে তাঁর পাঠাগারের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে চির সমাহিত করা হয় এ গুণীজনকে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় বার্ধক্য জনিত কারণে নিজ বাসায় মারা যান তিনি। ১৯৯২ সালে পায়ে হেঁটে গ্রামে গ্রামে গিয়ে তৈরি করেন বই পড়ার অভিনব এক আন্দোলন। ২০০৬ সালে বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান \’ইত্যাদির\’ মাধ্যমে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে পলান সরকারের \’বই পড়া আন্দোলন\’। বইপড়া আন্দোলনে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এই \’সাদা মনের মানুষকে\’ ২০১১ সালে সরকার একুশে পদকে ভূষিত করে।