পাঁচ ক্যামেরার স্মার্টফোন বাজারে এনেছে বিখ্যাত ব্র্যান্ড নোকিয়া। কিন্তু, তাদের নতুন এই ফোন এক শ্রেণীর মধ্যে বিরল এক ভীতির সৃষ্টি করেছে। তারা দেখে রীতিমতো ঘাবড়ে যাচ্ছেন।
ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইল জানায়, বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ২০১৯-এ এই ফোনটি প্রথম জনসমক্ষে আনা হয়েছে। পারভিউ কোম্পানির অত্যাধুনিক নকশায় তৈরি ফোনটিতে পাঁচটি ক্যামেরা-লেন্স রয়েছে।
পাঁচটি সেন্সরের সম্মেলনের কারণে এই ‘নোকিয়া ৯’ ফোন দিয়ে তোলা ছবির রেজ্যুলেশন ২৪০ মেগাপিক্সেল পর্যন্ত হতে পারে।
কিন্তু, ফোনটির নকশার কারণে সমস্যায় পড়ছেন ‘ট্রিপোফোবিয়া’য় আক্রান্ত মানুষেরা। এই ফোবিয়া বা ভীতিতে আক্রান্ত মানুষরা অনিয়মিত নকশা বা ছিদ্রের সমাহারের দৃশ্য সহ্য করতে পারেন না।
ব্রিটেনের সর্বাধিক প্রচারিত পত্রিকা মেট্রো জানায়, বেশকিছু মানুষ টুইটারে ফোনটির নকশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নোয়েল আর. মেয়ার নির্মাতাদের উদ্দেশ্য করে টুইটারে লেখেন, ‘নোকিয়া মোবাইল! নতুন ফোনের নকশা করার আগে দয়া করে গুগলে ট্রিপোফোবিয়া সার্চ দিয়ে দেখুন। এটা সব টেক সাইটে আছে, মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে।’
‘এই ফোনের সঙ্গে ট্রিপোফোবিয়ার বিষয়ে সতর্কবার্তা লিখে দেয়া উচিৎ! আমার এটা দেখে অস্বস্তি লাগছে’, সমালোচনা করে বলেন গেম ডিজাইনার ইশান মানজ্রেকার।
‘ফোনটা দেখে গা রি রি করছে,’ টুইটারে লেখেন ডিন উইলিয়ামস।
ইউনিভার্সিটি অফ এসেক্সের সেন্টার ফর ব্রেইন রিসার্চের সিনিয়র লেকচারার ড. জিওফ কোল মেট্রোকে জানান, ট্রিপোফোবিয়া সম্পর্কে প্রথম গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন তিনি।
মেট্রোকে ড. কোল বলেন, ‘ফোনটার নকশা ট্রিপোফোবিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার মতোই।’
তবে, অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ ক্রেতা নতুন স্মার্টফোনটি দেখে চমৎকৃত।
নোকিয়া ব্র্যান্ডের কর্মকর্তা ফ্লোরিয়ান শিক বলেন, ‘আমরা ক্রেতাদের কাছ থেকে আমাদের সব নতুন ফোনের বিষয়ে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি। আন্ড্রয়েড ফোনের বিষয়ে আমাদের অনন্য চিন্তা-ভাবনা এবং নিরাপদ ও সর্বাধুনিক অভিজ্ঞতা দেয়ার কারণে এমনটা সম্ভব হয়েছে।’