আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

এক মুহূর্তেই সব পুড়ে ভস্ম। থেমে গেছে ৭০টি জীবন। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আরো অর্ধশতাধিক। চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড যেন শোকের একুশে ফেব্রুয়ারিকে কান্নার মিছিলের দিনে পরিণত করেছে। জায়গাটি রূপ নিয়েছে মৃত্যুপুরীতে। বাংলাদেশর সব সংবাদমাধ্যমে এখন এই একটিই খবর। নির্মম এই ঘটনা উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও।

নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে শুরু করে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি, রয়টার্স, গ্লোবাল নিউজ, এক্সপ্রেসের মতো বিশ্বখ্যাত সংবাদমাধ্যমগুলো বড় করে চকবাজার অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ ছেপেছে।

২০ ফেব্রুয়ারি, বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চকবাজারের নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুড়িহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনের সামনে থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা আশপাশের ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে এক এক করে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের অন্তত ২০০ কর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

ছোট গলি ও পানি স্বল্পতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হয় তাদের। সরু গলি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। চকবাজার থানার সামনে গাড়ি রেখে সেখান থেকেই পাইপের মাধ্যমে পানি নেওয়া হয়। এ ছাড়া আশপাশের ভবনের পানির ট্যাংক থেকেও পানি সংগ্রহ করে ফায়ার সার্ভিস। রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেও থামানো যায়নি মৃত্যুর মিছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও উদ্ধারকর্মীরা ধারণা করছেন, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। ২১ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া আরো অর্ধশতাধিক দগ্ধকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

Scroll to Top