রাজধানীর চকবাজার এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা নিয়ে বর্ণনা দিলেন প্রাণে বেঁচে যাওয়া আহত রিকশাচালক নূর আলম (৩০)।
তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে নন্দকুমার দত্ত রোড দিয়ে রিকশায় যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলাম। তখনই ঘটে বিকট শব্দ। সেই সময় আমার রিকশার ওপর ভেঙে পড়ে ভবনের দেয়ালের কিছু অংশ।
নূর আলম বলেন, ‘আমার ওপরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই রিকশা থেকে পইড়া যাই। আর যাত্রীরা গিয়া পড়ে রাস্তার লগের ড্রেইনে।’
আগুনের ভয়াবহতা বর্ণনা করে আহত নূর আলম জানান, দেয়ালের অংশ পড়ে মাথা ফেটে গেলেও তখনও আমার জ্ঞান ছিল। এর পর আমি ফোনে পাশেই এক আত্মীয়কে জানাই। পরে ওই আত্মীয় ঘটনাস্থলে এসে আমাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। মাথা ফাইট্যা গেছে। হাতে আর পিঠে ও আঙুলেও ব্যথা পাইছি।’
রাতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও রোজগারের একমাত্র অবলম্বন রিকশা এখনও পাননি। তাই মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে ছুটে আসেন দুর্ঘটনাস্থলে। কারণ ওই সময় রিকশা ফেলেই প্রাণ বাঁচাতে যান হাসপাতালে।
এ সময় তিনি বলেন, এমন দৃশ্য জীবনেও দেখি নাই। আজকে আমি আজরাইল দেইখ্যা ফালাইছি। অল্পের লাইগা প্রাণে বাইচ্যা গেছি।
রাজধানীর চকবাজার এলাকায় রাজ্জাক ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সবশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, অন্তত ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ১০টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুনের ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও আবারও বেড়ে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে এখনও কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। সৌজন্যেঃ যুগান্তর