প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কোটিপতি

নদী ভাঙনকবলিত এলাকার নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান খলিলুর রহমান। তিন ভাইয়ের একজন চায়ের দোকানি, একজন কৃষক এবং অন্যজন গার্মেন্টে চাকরি করেন। খলিলুর রহমান ছিলেন সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চর আদিত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে কোটিপতির খাতায় নিজের নাম লিখিয়েছেন খলিল।

তার অঢেল সম্পত্তি দেখে হতভম্ব স্থানীয়রা। সিরাজগঞ্জ শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় নিজের ও স্ত্রীর নামে প্রায় সাড়ে ৫ শতক জমির ওপর পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন খলিল।

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদিঘা মৌজায় রয়েছে তার ১৯ শতক জমি। বর্তমানে একটি টয়োটা করোলা (ঢাকা মেট্রো গ-১৯০৩০৪) গাড়ি ব্যবহার করছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোনালী ব্যাংক কাজীপুর শাখায় ৫০ লাখ টাকার এফডিআর আছে খলিলুর রহমানের। তাছাড়া ঢাকার মিরপুরে, গাজীপুরের কোনাবাড়িতে ও বগুড়ার লতিফপুর এলাকায় তার কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এলাকাবাসীর দেয়া এক অভিযোগপত্রে বেরিয়ে এসেছে খলিলুর রহমানের এসব সম্পত্তির খোঁজ। গত ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ অভিযোগপত্র পাঠানো হয়।

দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গত ১০ বছরে একজন স্কুলশিক্ষক কীভাবে কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন তার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে অভিযোগপত্রে।

দুদক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্থানীয়দের দেয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, আমাকে হেয় করতে এসব অভিযোগ করেছে প্রতিপক্ষ। সিরাজগঞ্জ শহরে বাড়ি ও বগুড়ার শাহজাহানপুরের ১৯ শতক জমি ছাড়া অভিযোগপত্রে উল্লেখিত আর কোনো সম্পত্তি নেই বলে দাবি করেন তিনি।

খলিলুর রহমান সিরাজী বর্তমানে কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আসন্ন উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

Scroll to Top