ব্যক্তিগত কিছু কারণে বরাবরই সমালোচিত ও ট্রোলড হয়েছেন মডেল সানাই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও ও কনটেন্ট ছড়ানোর কারণে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে নিয়ে রোববার বিকেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
সেখানে ইন্টারনেট থেকে তার আপত্তিকর ভিডিও ও ছবিগুলো সরিয়ে ফেলা এবং ভবিষ্যতে এই ধরণের কাজ না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সানাই ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমা চেয়েছেন। এবং ভবিষ্যতে এসব কাজ করবেন না বলেও অঙ্গিকার করেছেন।
এদিকে এসব ব্যাপারে সানাইয়ের উপর ক্ষেপেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। একজন তথাকথিত অভিনেত্রীর জন্য মিডিয়ার সকল অভিনেত্রীকে কথা শুনতে হয় বলে তিনি মনে করেন। রোববার সন্ধ্যায় তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, ‘এদের মতো অসভ্য কুলাঙ্গার গুলার জন্য সবার নাম খারাপ হয়! সে নাকি অভিনেত্রী! কিসের অভিনেত্রী? কোথায় কাজ করেছে? কোন নাটক? কোন সিনেমা? শুধু শুধু এট্যেনশন এর জন্য মিডিয়ার নাম বিক্রি! এসব অশালিন মেয়েদের জন্য আমাদের একশো কথা শুনতে হয়! আর আমাদের মিডিয়া, যত ফকিন্নি/ঝকিন্নি আছে সেগুলো নিয়ে মাতামাতি! কেন এদের ভাইরাল করতে হবে? কেন এদের ইন্টারভিউ নিয়ে যে জানে না, যে চেনে না তাকে জানাতে/চেনাতে হবে? কেন তার এসব অসভ্যতাকে এতোদিন লাই দেয়া হলো? কেন প্রথমেই তাকে বয়কট করলো না মিডিয়া? কেন কার নামের পাশে অভিনেত্রী যোগ করা হলো?’
সবশেষে শবনম ফারিয়া সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম ইউনিটকে ধন্যবাদ জানান এমন পদক্ষেপের জন্য।
এদিকে ফেসবুক লাইভে এসে সানাই বলেন, আমি আমার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমার সমালোচিত কনটেন্টগুলো আমি কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য বা আর্থিক লাভের আশায় করিনি। তদুপরি অদ্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটে এসে এটা আমার বিশেষভাবে অনুধাবন হয়েছে যে, এই কনটেন্টগুলো দেখে কোনো কোনো শ্রেণির লোকজন, বিশেষ করে শিশুরা, যারা ১৮ বছরের নিচে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অতএব এটা অবশ্যই আমার ভুল ছিলো। আমি এদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এই দেশের সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে দেশের আইন মেনে চলে একজন ভালো শিল্পী হতে চাই।
আমি ইতোপূর্বে করা একক বা যৌথভাবে করা বিব্রতকর ভিডিওগুলোর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমি অবশ্যই ভবিষ্যতে এই ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকবো। এবং আমার নিয়ন্ত্রণে থাকা সব প্রোফাইল থেকে এই ধরণের কনটেন্ট মুছে ফেলবো। এছাড়া অন্য কনটেন্টগুলোর বিষয়ে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তা চাচ্ছি। আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, আমাদের দেশের ইন্টারনেটকে আমরা নিরাপদ রাখবো এবং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগানকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।