প্রাকৃতিক প্রতিটি খাদ্য উপাদান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি উপাদান ও শক্তি পাওয়া যায়। একেক ধরণের সবজি, ফল ও খাদ্য উপাদানে, একেক ধরণের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য গুণ থাকে, খাদ্যাভাসে সকল ধরণের প্রাকৃতিক উপাদান রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা।
তবে বেশিরভাগ প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান খাওয়া হয় সিদ্ধ, ভাজি ও নানান পদ্ধতিতে রান্না করে। একেবারেই কাঁচা খাওয়া হয় খুব কম খাদ্য উপাদানই। অথচ কিছু প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান কাঁচা খেলেই, সেই খাদ্যটির সম্পূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যাবে। এমন কয়েকটি খাদ্য উপাদানের সম্পর্কে জেনে রাখুন।
নারিকেল
ফলের মাঝে নারিকেল অন্যতম আর্দ্রতা সম্পন্ন একটি ফল, যাতে প্রাকৃতিকভাবেই ইলেকট্রোলাইটের উপস্থিতি থাকে অনেক বেশি। তবে রান্না করা, চিনির শিরায় প্রস্তুত করা ও শুকনো নারিকেলে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা কমে যায় একেবারেই।
সবুজ সবজি
প্রায় সকল ধরণের গাড় সবুজ সবজিতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি ও ক্যালসিয়াম। এছাড়াও থাকে সালফরাফেন (Sulforaphane), যা রক্তচাপ কমাতে ও হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে কাজ করে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ব্রকলি সিদ্ধ করা হলে, এতে থাকা সালফরাফেনের মাত্রা কমে যায় প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত।
বিভিন্ন ধরণের বাদাম
অনেকে ভাজা বাদাম খেতে ভালোবাসেন। তবে দুঃখজনকভাবে কাঁচা বাদাম থেকেই বাদামের সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যাবে। বাদামে থাকা আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস এর মাত্রা রোস্টেড তথা ভাজা বাদামে কমে যায় অনেকটাই।
ক্যাপসিকাম
হালকা ঝাঁঝযুক্ত ক্যাপসিকাম থেকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি পাওয়া যায়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ জানাচ্ছে, ৩৭৫ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় ক্যাপসিকাম রান্না করা হলে এতে থাকা অন্যান্য পুষ্টি গুণাগুণের সঙ্গে ভিটামিন-সি এর মাত্রা কমে যায় ও নষ্ট হয়ে যায়ে। এছাড়া ভিটামিন-সি খুবই সেনসেটিভ পুষ্টি উপাদান হওয়ায় খুব সহজেই তা খাদ্য উপাদান থেকে হারিয়ে যায়।
আপেল
আপেলের জেমি, জ্যাম, কিংবা আপেলের আচার খাওয়া যতই সুস্বাদু হোক না কেন, এই সকল খাবারে আপেলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা একেবারেই নষ্ট হয় হয়ে থাকে। ডিহাইড্রেশন প্রসেসের মাঝ দিয়ে যাওয়ার সময় আপেলে উপস্থিত মিনারেল ও পুষ্টিগুলো বিনষ্ট হয়ে যায় এবং রান্নার প্রক্রিয়ার ফলে আপেলের ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট ও চিনির মাত্রা বেড়ে যায় অনেকখানি।