ঘরের মাঠ আমস্টাডার্মের ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে রুখে দেওয়ার পণ করেছিল ডাচ ক্লাব আয়াক্স। রিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৯৯৫ সালে শেষবার জয় পেয়েছিল ক্লাবটি। সেবার নিজেদের মাটিতেই রিয়াল হেরেছিল ২-০ গোলে। এবার শেষ ষোলোর ম্যাচে আয়াক্সের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রথম লেগের ম্যাচটিতে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একটি করে গোল করেন করিম বেনজেমা ও মার্কো অ্যাসেনসিও। আয়াক্সের হয়ে গোলটি করেন জিয়েখ। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দুই দলই গোলের দেখা পায় দ্বিতীয়ার্ধে। নিজেদের মাঠে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে সমতায় ফিরলেও ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় আয়াক্স।
ম্যাচের ১৬ ও ৩১তম মিনিটে দুইবার গ্যারেথ বেলের শট আটকে দেন আয়াক্সের গোলরক্ষক ওনানা। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে আয়াক্সের সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড দুসান তাদিচের শট পোস্টে লেগে ফেরে। ৩৬তম মিনিটে মরক্কোর মিডফিল্ডার জিয়েখের নেওয়া শট রুখে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক থিবাউট কোরতোইস। এর দুই মিনিট পর আয়াক্সের আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস তাগলিয়াফিকো হেডে জালে বল পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু অফসাইডে খেলোয়াড় থাকায় ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোল দেননি রেফারি।
৬০তম মিনিটে লিড নেয় রিয়াল। ব্রাজিল তারকা ভিনসিয়াসের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা। ক্লাব ফুটবলে ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় বেনজেমার এটি ৬০তম গোল। ৭৫তম মিনিটে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। মরক্কোর মিডফিল্ডার জিয়েখের গোলে স্বস্তি পায় আয়াক্স।
বেনজেমার বদলি হিসেবে রিয়াল কোচ মাঠে নামান মার্কো অ্যাসেনসিওকে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ৮৭তম মিনিটে দানি কার্বাহালের বাড়ানো বলে গোল করেন অ্যাসেনসিও। যোগ করা সময়ে সার্জিও রামোস হলুদ কার্ড পান। পর পর দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড পাওয়ায় আগামী ৫ মার্চ ঘরের মাঠে ফিরতি পর্বে অধিনায়ককে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের শেষ মিনিটে এসে হলুদ কার্ড দেখে রিয়ালের হয়ে নিজের ৬০০তম ম্যাচটি কলঙ্কিত করলেন রামোস।
শেষ ষোলো পর্বে একই সময়ে শুরু হওয়া অন্য ম্যাচে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার ৩-০ গোলে হারিয়েছে জার্মানির বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে। টটেনহ্যামের হয়ে গোলগুলো করেন সন হিউং-মিন, ইয়ান ভার্টোনেন ও ফের্নান্দো লরেন্তে।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএস