ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। গতকাল শুক্রবার এক টুইট বার্তায় আগামী ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প টুইট করেন, ‘আমি চেয়্যারম্যান কিমকে দেখার এবং শান্তির কারণ অগ্রসর করার অপেক্ষায় আছি।’ তিনি আরও লিখেন, ‘কিম জং উনের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক পাওয়ার হাউস হয়ে উঠবে। এতে হয়তো অনেকেই অবাক হতে পারেন, তবে আমি হয়নি। কারণ তাকে জানার এবং তার সক্ষমতা বোঝার সুযোগ আমি পেয়েছি। উত্তর কোরিয়া অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটি ভিন্ন রকেট হয়ে দাঁড়াবে।’
এর আগে গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টে বাৎসরিক ভাষণ ‘স্টেট অব ইউনিয়ন’ এ বৈঠকের দিনক্ষণ জানিয়ে দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘কোরিয়ান উপদ্বীপে শান্তির জন্য আমাদের ঐতিহাসিক চেষ্টা চালিয়ে যাবো। আমাদের জিম্মিরা বাড়িতে এসেছে, পরমাণু পরীক্ষা বন্ধ হয়েছে এবং বিগত ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে কোনো মিসাইল লঞ্চ হয়নি। আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত না হতাম তবে আমার মতে, আমরা এখন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বড় ধরনের যুদ্ধে থাকতাম।’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এখনও অনেক কাজ বাকি আছে কিন্তু কিমের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এখন ভালো। আগামী ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি কিম এবং আমি আবার দেখা করবো।’
এদিকে গত ১৭ জানুয়ারি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনের পরিকল্পনা প্রকাশ করে ট্রাম্প। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি কিম। উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেই সম্পর্ক উন্নয়নে আলোচনা অব্যাহত রাখবে ওয়াশিংটন।
এর আগে গত বছরের ১২ জুন সিঙ্গাপুরে প্রথম বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাম্প ও কিম। ওই বৈঠকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা করা হলে কিছুটা অগ্রগতি হয়। তখন এতে উত্তর কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতা নীতিসহ নানা বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা ও চুক্তি হয়। যদিও এর পর দুজনের মধ্যে আবারও চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে