চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে ফাইনালে ঢাকা

সাকিব, পোলার্ড ও রনি তালুকদার পর পর আউট হয়ে ফিরলেন। ছোট গল্পে রোমাঞ্চ দেখার আশা জাগল। কিন্তু রাসেল সেটা হতে দিলেন না। দেখে-শুনে-বুঝে, ডাবল-সিঙ্গেল এবং সুযোগ বুঝে ছয় মেরে ম্যাচ বের করে নিলেন তিনি। বিপিএলের সবচেয়ে সফলতম দল ঢাকা ৫ উইকেটের জয় তুলে নিল। গতবারের মতো এবারও বিপিএলের ফাইনালে উঠে গেল। বিদায় করে দিল বিপিএলের শিরোপাধারীদের। নিল আগের আসরের ফাইনালে হারের শোধ।

ঢাকার ইনিংসের শুরুটা ছিল ভালো-খারাপের মিশেল। পাঁচ ওভারের মধ্যে টপ অর্ডারের সেরা তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় চ্যাম্পিয়ন রংপুর। আবার শুরুর চার ওভারে ৪২ রানও তুলে ফেলেছিল মাশরাফির দল। গেইল দিয়েছিলেন ভালোর আভাস। বাঁচা-মরার ম্যাচে দলে ফিরে দুর্দান্ত শুরু করেন নাদিফ চৌধুরী। কিন্তু ব্যাটিংয়ের শেষটা খুবই বিবর্ণ হলো রংপুরের। আর তাই দুই বল থাকতে ১৪২ রানে অলআউট হয়ে গেলো তারা।

রংপুরের হয়ে পুরো আসরে ভালো করা মিঠুন করেন ২৭ বলে ৩৮ রান। তিনি হাত খুলে খেলা শুরু করতেই তরুণ বাঁ-হাতি পেসার কাজী অনিক তাকে তুলে নেন। এরপরই ফিরে যান আগের ম্যাচে ঝড় দেখানো বেনি হাউল। ক্রিজে এসে সুযোগই তৈরি করতে পারেননি মাশরাফি, নাহিদুল এবং ফরহাদ রেজা। তাদের ব্যর্থতায় অলআউটই হয়ে যায় পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থেকে প্লে অফ খেলা রংপুর। শেষ পর্যন্ত রবি বোপারার ৪৯ রানের সুবাদে ওই সংগ্রহ পায় রংপুর।

জবাবে ২০ বল থাকতে খুব সহজে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় সাকিবের ঢাকা। দলের হয়ে আন্দে রাসেল ১৯ বলে ৪০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছক্কা পাঁচটি। নেই কোন চারের মার।তার আগ রনি তালুকদার খেলেন ৩৫ রানের ইনিংস। সাকিব করেন ২৩ রান। এছাড়া পোলার্ড ১৪ এবং নুরুল হাসান ১৭ বল খেলে ৭ রান করে মাঠ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন। 

ঢাকার হয়ে এ ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেন রুবেল হোসেন। শুরুতে পরপর দুই বলে গেইল ও রুশোকে ফেরান তিনি। পরের নেন আরও দুই উইকেট। তিনি ৩.৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া রাসেল এবং কাজী অনিক দুটি করে উইকেট নেন। সাকিব এক উইকেট নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এক আসরের ২২ উইকেট পূর্ণ করেন। রংপুরের হয়ে ২ উইকেট নেন মাশরাফি। তিনিও বিপিএলের এক আসরে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ২২ উইকেটের মালিক হলেন।  

Scroll to Top