বাজারে প্লাস্টিকের চাল বিক্রির যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ড. কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, প্লাস্টিকের চালের বিষয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তার কোন ভিত্তি নেই। আমি সেখানকার ডিসি, ডেপুটি ডাইরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সেখানে গিয়েছে, সেই চালে এনে রান্না করেছে ও মুড়ি বানিয়েছে। কোনোক্রমে প্লাস্টিকের চাল বাস্তবসম্মত নয়।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মিলারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে কৃষকরা চাল বিক্রি করতে পারছে না। আমি টাঙ্গাইলে গিয়েছি হাজারো মানুষ বলেছে আমরা শেষ হয়ে গেলাম। সেখান প্লাস্টিকের চালের বিষয়টি অবাস্তব। গাইবান্ধা থেকে ঢাকায়ও পরীক্ষার জন্য চাল পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সেটি আমরা পরীক্ষা করে দেখব। কোনোক্রমেই প্লাস্টিকের চাল বিষয়টি সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিরাপদ খাদ্য দিবসে ঘোষণা করেছে ঢাকায় সেন্ট্রাল ল্যাব করা হবে। যেখানে খাদ্যে ভেজাল, ঔষধে ভেজাল নির্ণয় করা যাবে। আধুনিক মর্ডান একটি ল্যাব করতে চাচ্ছেন তিনি। এজন্য আমাদের প্রশিক্ষিত জনশক্তি লাগবে। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা এখন সবাই স্কুলে যাচ্ছে। তারা এখন আর মাঠে কাজ করতে চাইবে না। এদের জন্য কাজের সংস্থান করতে হবে। তারুণ্যের শক্তিকে আমরা দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করব এবং তাদের জন্য কর্মসংস্থান নিশ্চিত করব সেটি আমরা তুলে ধরেছি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেছি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি ইউএসএআইডি এর মাধ্যমে তাদের কাছে আমরা সহযোগিতা চাই। প্রযুক্তিগত ল্যাবরেটরি স্থাপন করাসহ বিভিন্ন সহযোগিতার কথা তারা বলেছে। তারা জানিয়েছে আমরা অবশ্যই অতীতেও আপনাদের পাশে ছিলাম। কৃষিতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
পলিটিক্যাল বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে কোন দেশের উন্নয়নের জন্য পলিটিক্যাল স্থিতিশীলতা দরকার। এবং সেটা অনেকটা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এখন যখন তখন আর হরতাল-অবরোধ হবে না। যা উন্নয়নের জন্য খুবই সহায়ক। মার্কিন রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে একমত হয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পলিটিক্যাল স্ট্যাবল হয়েছে এবং বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে