এখন বিদ্যুতের জন্য অফিসে অফিসে ধরনা দিতে হয়না; আলোর ফেরিওয়ালা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে আরইবির আওতাধীন ৬টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত নতুন ৯টি গ্রিড উপকেন্দ্র, সন্দীপ উপজেলায় বিশেষায়িত বিদ্যুতায়ন এবং ১২টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ আরও উন্নত হোক। আর ২০২১ সালে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্যমুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গড়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০-২০২১ এই বর্ষকে আমরা মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। কাজেই বাংলাদেশের জনগণের সকলে এটা উদযাপন করবেন। বাংলাদেশ হবে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্যমুক্ত বাংলাদেশ। ’
জানা গেছে, ভোলার ২২৫ মেগাওয়াট সিম্পল সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (সিসিপিপি) ও সিরাজগঞ্জে ২৮২ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট উদ্বোধন করা হয়। গ্যাসচালিত এ দুই কেন্দ্রের প্রথমটি নির্মাণ করছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। দ্বিতীয় কেন্দ্রটি রাষ্ট্রীয় নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিপিজিসিএল) সঙ্গে যৌথভাবে স্থাপন করছে সিঙ্গাপুরের কোম্পানি সেম্বকর্প।
বেসরকারি উদ্যোক্তাদের তেলচালিত চারটি কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। এগুলো হচ্ছে- ওরিয়ন পাওয়ারের খুলনার রূপসায় ১০০ মেগাওয়াট, দেশ এনার্জির চাঁদপুরে ২০০ মেগাওয়াট, মিডল্যান্ড পাওয়ারের আশুগঞ্জে ১৫০ মেগাওয়াট এবং একর্ন ইনফ্রাস্ট্রাকচারের চট্টগ্রামের জুলদায় ১০০ মেগাওয়াটের তৃতীয় ইউনিট।
প্রধানমন্ত্রী নতুন যে ১২ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেন সেগুলো হলো- ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু, ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও কালুখালী, বরগুনার বামনা, হবিগঞ্জের খালাই, শায়েস্তাগঞ্জ, আজমেরীগঞ্জ ও বাহুবল এবং জামালপুরের মেলান্দহ ও ইসলামপুর। এর আগে সরকার ১৮৬টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত করার ঘোষণা করেন।
দেশে প্রথম সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের বিদ্যুৎ সংযোগ শুরু হয় গত ১৫ নভেম্বর। বুধবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী একই দিন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে নির্মাণ করা ১২টি গ্রিড উপকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। ১৩২/৩৩ কিলোভোল্ট লেভেলের এ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও বরিশাল উত্তর, চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাট, নীলফামারীর জলঢাকা ও সুনামগঞ্জ, সিলেটের বিয়ানীবাজার, রাঙামাটি এবং কক্সবাজারের মাতারবাড়ি। এ ছাড়া চট্টগ্রামের ২৩০/১৩২ কেভি উপকেন্দ্রও একই সময়ে উদ্বোধন করেন।
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএস