কর্ণফুলী নদীর পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পর প্রভাবশালীদের কাছ থেকে হুমকি আসছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইলিয়াস হোসেন। তবে সেই হুমকিতে মাথানত করবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আদালতের নির্দেশ পাওয়ার দুই বছর পর সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১০টায় কর্ণফুলীর দুই পাড়ে অবস্থিত আড়াই হাজার সরকারি-বেসরকারি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। নগরীর সদরঘাটে লাইটারেজ জেটি থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান মুক্ত ও তৌহিদুর রহমান।
দুপুর ১টার দিকে মাঝিরঘাট এলাকায় কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকা জায়গা উদ্ধারের সময় সেখানে পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক।
এ সময় সাংবাদিকদের জেলা প্রশাসক বলেন, “কোনো প্রভাবশালীর কাছে মাথানত করবো না। অলরেডি বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে হুমকি-ধামকি এসেছে। উচ্ছেদকারী ম্যাজিস্ট্রেট যারা, তাদেরকেও হুমকি দিয়েছে। আমরা সেই হুমকিতে বিচলিত নই।”
তিনি বলেন, “আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা দেশকে ভালোবাসি। আমাদের নদী বাঁচাতে হবে, দেশকে বাঁচাতে হবে। যে যতই প্রভাবশালী ব্যক্তি হোক না কেন, আমরা কোনোমতেই কাউকে ছাড় দেবো না।”
আরএস অনুযায়ী কর্ণফুলীর সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, “আরএস জরিপ অনুযায়ী ২ হাজার ১১২টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ অনুযায়ী, উচ্ছেদ কাজ আমরা শুরু করেছি। এটা চলতে থাকবে। যতদিন পর্যন্ত সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষ না হবে, ততদিন পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। আরএস অনুযায়ী যতটুকু ভাঙ্গা দরকার, সবটুকুই ভেঙ্গে দেওয়া হবে।”
দখলমুক্ত হওয়ার পর নদীর পাড় নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “উচ্ছেদের পর প্রথমে আমরা জমি দখলে নেব। সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ হবে। ওয়াকওয়ে বানানো যায়। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা কিংবা পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা যদি করা যায়, প্রকৌশলীদের নিয়ে পরিকল্পনা করবো।”
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে