ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কাজের সময় প্রধান শিক্ষক ধরা!

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অনৈতিক কাজের সময় প্রধান শিক্ষককে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ঘটনাস্থলে থাকা অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার রাত ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালতলা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি গোবিন্দগঞ্জ তালুককানুরপুর ইউনিয়নের তালতলা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এছাড়া শহিদুল ইসলাম তালুককানুপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানও।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে রাবার বুলেট ছোঁড়া হয়। এতে কেউ আহত হয়েছেন কিনা জানা নেই।

তিনি আরও জনান, ঘটনাস্থল থেকে শিক্ষক ও ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দুজনে প্রতিবেশি সম্পর্কে নানা-নাতি। ওই ছাত্রী তার নানার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করছে। সন্ধ্যায় শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তাকে নিয়ে মার্কেট যাওয়ার কথা। কিন্তু টাকা না থাকায় শহিদুল ইসলাম তাকে নিয়েই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আসেন টাকা নিতে। অফিস কক্ষে প্রবেশের পরেই স্থানীয় লোকজন বাহির থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে অপপ্রচার চালায়। এ ঘটনা নিয়ে মেয়ে ও তার পরিবারের লোকজনের কোন অভিযোগ নেই বলেও জানান তিনি।

তিনি জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তারপরেও ঘটনাটি আরও খতিয়ে দেখা হবে।

এলাকাবাসী জানান, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। শনিবার রাত ৮টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অবস্থান করেন তারা। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে অফিস কক্ষের বাহিরের দরজায় তালা লাগান। খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষকের লোকজন তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে স্থানীয় যুবক সুমন মিয়াসহ অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে

Scroll to Top