অনিয়মিত জীবনযাপন ও অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসের কারণে মেদ বাড়া, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো অসুখ হতে পারে। চিকিৎসকরাও তাই খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদ ও ডায়াটেশিয়ানরাও তাই কখন কোন খাবার খাচ্ছেন এবং কত ক্ষণ বিরতি দিয়ে খাচ্ছেন তার উপর গুরত্ব দেন।
দিনের শুরুর খাবারটা শরীর গঠন ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে খুবই উপকারি। চিকিৎসকদের মতে, খাদ্যগ্রহণের নিয়ম হওয়া উচিত পিরামিড আকার মেনে। দিনের প্রথম খাবার তাই ভারি হওয়াই দরকার।
এ দিকে লো ফ্যাট নো কার্বস ডায়েট না মেনে চলতে গিয়ে অনেকেই সকালের খাবার ঠিক মত খান না। আবার কারো কারো সকালের খাবারে এমন কিছু থাকে যা পেট ভরালেও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মেনেই সকালের খাবার খাওয়া উচিত।
সকালে নাস্তা করার সময় না থাকলে অনেকেই একেবারে ভাত খেয়েই অফিসে যান। কিন্তু তারা জানেন না সকালে প্রথমেই এতগুলো শর্করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বরং ভাতের বদলে আটার রুটি খান। রুটির থেকে তৈরি হওয়া গ্লাইকোজেন ভাতের তুলনায় দ্রুত গলে। সঙ্গে রাখুন টক দই, কম তেলের সবজি বা চিকেন স্যুপ ও ডিম।
ছুটির দিন মানেই তেলে ভাঁজা পরোটা দিয়ে সকালের নাস্তা নয়। ময়দায় ফাইবার যেমন কম থাকে, তেমনই এতে ফ্যাট জমার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। বরং দুধের সঙ্গে ওটস খেতে পারেন। এতে পেটও ভরবে আবার পুষ্টিগুণও পাবেন।
অনেকেই সকালে পাউরুটির টোস্ট আর কফি পছন্দ করেন। কফি বা ময়দার পাউরুটি কোনোটাই শরীরের জন্য খুব একটা উপকারি নয়। বরং পাউরুটি থেকে হজমের নানা সমস্যা ও ফ্যাট বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
আর যদি পাউরুটি খেতেই হয় তবে ব্রাউন ব্রেড খান। একেবারে কম ফ্যাটযুক্ত মাখন অল্প করে পাউরুটিতে মাখিয়ে খেতে পারেন সপ্তাহে দুই-তিন দিন। ফ্লেভারড দই একেবারে বাদ দিন। এতে শর্করা প্রচুর। তার চেয়ে সাধারণ টক দই খেতে পারেন।
সকালে কিনে আনা ফলের রস খাওয়া যাবে না। বাড়িতেই জুস করে নিন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি শুধু ফল খেতে পারেন। বাজারের ফলের রসে অ্যাডেড সুগার থাকে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
প্যানকেক, পেস্ট্রি, কেক, চিপস এসব খাবার একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত চিনি, লবণ, তেল ইত্যাদি এসব থাকায় এগুলো সকালের খাবার থেকে একেবারেই বাদ দিন।
চা-কফির নেশা থাকলে তা দিনের অন্য সময় খান কিন্তু সকালের খাবারে নয়। সারা রাত পেট খালি রাখার পর সকালের খাবারই প্রথম শরীরে যায় তাই খালি পেটে চা-কফি একেবারেই খাবেন না।