কিছু দিন আগেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের দাওয়াই বাতলে দিয়েছিলেন তিনি। এবার ধূমপানের বিরুদ্ধে প্রচারে অভিনব ‘শিক্ষা’দিলেন রামদেব। কুম্ভ মেলায় গিয়ে সাধু-সন্তদের কাছ থেকে কেড়ে নিলেন গাঁজার কলকি।
ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে যোগগুরুর বার্তা, “রাম, কৃষ্ণ এঁরা যখন ধুমপান করতেন না, তখন আপনারা তাঁদের ভক্ত হয়ে কেন গাঁজা খাবেন।”
সাধু-সন্তদের সমাবেশ মানেই গাঁজার আখড়া। ভারতের প্রয়াগরাজে চলছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ কুম্ভমেলা। সারা বিশ্বের সাধু-সন্তদের আগমনে গমগম করছে গোটা এলাকা। রাত-দিন সেখানে তাই গাঁজার ধোঁয়া ওড়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই গাঁজা সেবনের বিরুদ্ধেই এবার কার্যত রুখে দাঁড়ালেন রামদেব।
আনন্দবাজার বলছে, বুধবার সাধু-সন্তদের আখড়ায় গিয়ে গাঁজার কলকি কেড়ে নিয়ে নিজের হেফাজতে নিয়ে নিলেন এবং সেগুলি আর কাউকে ফেরতও দেননি তিনি।
নিজেকেও সাধু-সন্তদের সঙ্গে একাত্ম করে যোগগুরু বলেন, “আমরা রাম, কৃষ্ণ এঁদের জীবনদর্শন অনুসরণ করি। কিন্তু তাঁরা কখনও গাঁজা খাননি। তাহলে আমরা কেন সেই নেশা করব? আমাদের শপথ নেওয়া উচিত, আর কখনও কোনও নেশা করব না।”
শুধু বলা নয়, সাধুদের দিয়ে রীতিমতো সেই শপথ করিয়েও নেন রামদেব।
সাধু হতে গেলে কার্যত সংসার-সমাজ-পরিবার ত্যাগ করতে হয়। অনেকে আবার বস্ত্রপর্যন্ত পরিত্যাগ করেছেন। ত্যাগের এই উদাহরণ তুলে ধরে রামদেব বলেন, “আমরা সাধুরা বাড়ি ছেড়েছি। বৃহত্তর স্বার্থে মা-বাবাকে ছেড়েছি। তাহলে কেন আমরা নেশা ছাড়তে পারব না?’’
কিন্তু কেড়ে নেওয়া কলকিগুলি কী হবে? রামদেব পরে জানান, তিনি একটি সংরক্ষণশালা তৈরি করছেন। সেখানেই শোভা বর্ধন করবে সেগুলি।
যোগগুরুর বক্তব্য, ‘‘যুব সমাজকে ধূমপান ছাড়তে আবেদন করেছি। তার থেকে এই মহাত্মারাই বা কেন বাদ যাবেন।’’
বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৩৩ কোটি। ক্রমেই সেই সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এ নিয়েও সপ্তাহ খানেক আগেই দাওয়াই দিয়েছেন পতঞ্জলীর কর্ণধার।
তিনি বলেছিলেন, ‘‘হিন্দু হোক বা মুসলিম, বাছ-বিচার না করে যে সব বাবা-মা দুটির বেশি সন্তানের জন্ম দেবেন, তাদের ভোটাধিকার, চাকরি এবং চিকিৎসার সুযোগ কেড়ে নেওয়া উচিত সরকারের।’’
৫৫ দিনের কুম্ভ মেলা শেষ হচ্ছে আগামী ৪ মার্চ। সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ১৩ কোটি মানুষের সমাগম হবে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন।