রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির ফুড কোর্টে অভিযান চালিয়ে ৫টি রেস্টুরেন্টকে সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া ১৪টি রেস্টুরেন্টকে ৩২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জানুয়ারি) পান্থপথে বসুন্ধরা সিটির আটতলার খাবারের দোকানগুলোতে বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলা ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযানে নিম্নমানের মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং খাবারে কাপড়ের রঙ মেশানোর দায়ে এসব রেস্টুরেন্টকে সিলগালা ও জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তার সঙ্গে ছিলেন বিএসটিআইয়ের ফিল্ড অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম, ডিএনসিসির নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আবদুস সালাম মৃধা ও আবদুল খালেক মজুমদার।
অভিযানে মিড নাইট সান, ঢাকাইয়া নাইটি সিক্স, ইন্ডিয়ান হট মাশালা, এলএফসি স্পাইসি ডোসা ও কড়াই গোসত নামে পাঁচ রেস্টুরেন্টকে সিলগালা করা হয়।
এছাড়া মিড নাইট সানকে ৫ লাখ টাকা, ঢাকাইয়া নাইটি সিক্সকে ৩ লাখ টাকা, মোঘল দরবারকে ৩ লাখ টাকা, ইন্ডিয়ান হট মাশালাকে ৩ লাখ টাকা, দিল্লি স্পাইশিকে ৩ লাখ টাকা, ইন্ডিয়ান দরবারকে ৩ লাখ টাকা, স্পাইসি ডোসাকে ৩ লাখ টাকা, ইন্ডিয়ান হান্ডিকে ১ লাখ টাকা, কাবালা সী ফুডকে ১ লাখ টাকা, কোরিয়ান ক্লোজিকে ১ লাখ টাকা, ডোসা কিংকে ৩ লাখ টাকা, বিএফসিকে ১ লাখ টাকা, টাংগি এন্ড টমিকে ১ লাখ টাকা এবং দিল্লি দরবারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, বসুন্ধরা সিটির শপিং মমের ফুড কোর্টের মতো জায়গায় খাবারের সঙ্গে যে রঙ মেশানো হচ্ছে তা কাপড়ের রঙ, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এসব রঙ ক্যান্সার, লিভার সিরোসিস, কিডনি ডেমেজসহ নানা রোগের কারণ হতে পারে। সেই সাথে অনেক দোকানে খাবার তৈরির পরিবেশ নোংরা, তেলাপোকা ঘুরে বেড়াচ্ছে, সিদ্ধ ডিম তেলাপোকা খেয়ে ফেলেছে -এগুলোও তারা খাবারের সাথে পরিবেশন করে।
সারওয়ার আলম আরও বলেন, অভিযান শেষ কথা নয়। আমাদের নিজেদেরকে সচেতন হতে হবে। মানবিক বোধ থেকে দোকান মালিকরা খাবারে রঙ মেশানো থেকে বিরত থাকবেন।