রাস্তায় পরে রইল দুটি স্কুলব্যাগ আর ছিন্নভিন্ন শরীর

পিচঢালা পথে গড়িয়ে যাচ্ছে রক্ত। পাশেই পড়ে আছে থেতলে যাওয়া দুটি শরীর। দুটি স্কুল ব্যাগ। ওরা ভাই-বোন। একটু আগেই স্কুলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উৎসব মাতিয়ে রেখেছিলো। এখন নিস্তব্ধ-নিথর।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জের মোল্লারপুর এলাকার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে এমন মর্মন্তুদ দৃশ্যের মুখোমুখি হন পথচারীরা।

কেরানীগঞ্জের কসমোপলিটন ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আফসার হোসেন ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাতিমা আফরিন তাদের বাবার সাথে মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার পথে ট্রাকচাপায় নিহত হয়। ওদের বাবা কালিম হোসেনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

ঘটনার প্রতিবাদে ওই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক ৪০ মিনিট অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষর্শীরা জানান, বেলা সোয়া ১১টার দিকে কালিম হোসেন স্কুল পড়ুয়া দুই সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় প্রিয়াঙ্গণ আবাসিক প্রকল্পের গেটের সামনে মালবোঝাই একটি বেপরোয়া গতির ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে পিষ্ট হয়ে আফসার (৭) ও আফরিন (৯) নামে দুই ভাইবোন ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

ঘটনার পরপরই আশপাশের লোকজন সেখানে দ্রুত ছুটে এসে মোটরসাইকেল চালক তাদের বাবা কলিমকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনসুর আলী বলেন, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা গেলেও পালিয়ে যায় চালক ও হেলপার। নিহত দু’জনের মরদেহের সুরতহাল শেষে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

স্কুলের শিক্ষক রাবেয়া বসরী বলেন, সোমবার স্কুলে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উৎসব ছিল। খেলা শেষে শিশুদের বাবা তাদের নিয়ে বাসায় ফিরছিলেন। তাদের বাড়ি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন রাজেন্দ্রপুরের পুরাহাটি এলাকায়।

Scroll to Top