মোশারফ করিমের পর এবার ‘স্বর্ণমানব’ চঞ্চল চৌধুরী

আবার আসলো ‘স্বর্ণমানব’। তবে এবার মোশাররফ করিমের জায়গায় এসেছেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তাকে নিয়ে ‘স্বর্ণমানব টু’ নির্মাণ করেছেন নাট্য পরিচালক আবুল হায়াত মাহমুদ।

নাটকটির রচনা, চিত্রনাট্য লেখা এবং সার্বিক নির্দেশনায় আছেন বাংলাদেশ কাস্টমস ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনের মহাপরিচালক মইনুল খান।

এই নাটকে চঞ্চল চৌধুরীকে দেখা যাবে শরীফ চরিত্রে। তার স্ত্রী রূপা চরিত্রে আছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। আরও আছেন শতাব্দী ওয়াদুদ, আরমান পারভেজ মুরাদ, সুজাত শিমুল, আমানুল হক হেলাল, কচি খন্দকারসহ ছোট পর্দার বেশ কয়েকজন পরিচিত মুখ। রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ কয়েকটি লোকেশনে এটির শুটিং হয়েছে।

তবে নাটকের নাম ‘স্বর্ণমানব টু’ হলেও প্রথমটির থেকে এটির কাহিনি সম্পূর্ণ ভিন্ন। অর্থাৎ এটি ‘স্বর্ণমানব’-এর সিক্যুয়েল নয়। নতুন অভিনেতা ও অভিনেত্রীর পাশাপাশি নতুন কাহিনিও রয়েছে নাটকে। নির্মাতা আবুল হায়াত মাহমুদ বলেন, ‘এবারের নাটকটিও নির্মিত হয়েছে বিমানবন্দর কেন্দ্রিক স্বর্ণ চোলাকারবারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। আশা করি, এটির সাফল্য প্রথমটিকে ছাড়িয়ে যাবে।

এর কাহিনিতে দেখা যাবে, শরীফ (চঞ্চল চৌধুরী) একজন স্বর্ণ চোরাকারবারি। স্বর্ণ চোরাকারবারের দায়ে দুই বছর জেল খাটার পরে সুস্থ জীবনে ফিরেছে সে। কিন্তু আগের চক্রটি তার জীবনে নতুন করে হানা দেয়। তাকে স্বর্ণ চোরাচালান করতে বাধ্য করে। তাকে অপহরণ করে নানা নির্যাতন করা হয়, ভয়-ভীতি দেখানো হয়। বাধ্য হয়ে আবার পুরনো কাজে নেমে পড়ে শরীফ।

এরপরই ঘটতে থাকে নানা চমকপ্রদ ঘটনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি শরীফ আবার সুস্থ জীবনে ফিরতে পারে? স্বর্ণ চোরাকারবারিদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে টিকে থাকতে পারে? নাকি আবার জেলখানাই হয় তার ঠিকানা? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে ‘স্বর্ণমানব টু’-এ।

নাটকটি গতকাল ২৬ জানুয়ারি, শনিবার আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস উপলক্ষে চ্যানেল আইয়ে প্রচার করা হয়েছে।

এর আগে গত বছর একই দিনে একই চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছিল মোশাররফ করিম অভিনীত ‘স্বর্ণমানব’ নাটকটি। সেখানে তার স্ত্রীর চরিত্রে ছিলেন অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। প্রচারের পরই ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল ‘স্বর্ণমানব’। বিভিন্ন টেলিভিশনে একাধিকবার দেখানো হয়েছিল এটি। মুক্তি পেয়েছিল চ্যানেল আইয়ের ইউটিউব চ্যানেলেও। সেখানে ৪০ লাখেরও বেশি বার দেখা হয়েছিল নাটকটি। এবার পালা চঞ্চলের।

Scroll to Top