ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঝড়-ঝাপ্টার কারণে মিডিয়ায় অনেকটাই অনিয়মিত হয়ে পড়েন এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া। এক বছর ফেসবুক থেকে দূরে থাকার পর গত ৮ ডিসেম্বর নিজের জন্মদিনে ফেসবুক লাইভে এসে স্পর্শিয়া জানান, নতুনভাবে জীবন শুরুর জন্য প্রায় এক বছর আড়ালে ছিলেন তিনি। নাটকে অভিনয় ছেড়ে দিলেও মিডিয়ার কাজ ছেড়ে দেননি বলে জানান তিনি। তার একাধিক চলচ্চিত্র মুক্তির মিছিলে রয়েছে বলেও জানান এই নায়িকা। এতে তার ভক্তরা আশায় বুক বাঁধেন এই ভেবে যে, আবার স্পর্শিয়া কাজে নিয়মিত হবেন। কিন্তু সম্প্রতি হঠাৎ করে আবার আড়ালে চলে যান স্পর্শিয়া। তাকে ফোন করে পাওয়া যাচ্ছিলো না। ফেসবুক থেকেও উধাও হয়ে যান। অবশেষে ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে স্পর্শিয়া জানালেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো নেই তিনি।
এ প্রসঙ্গে স্পর্শিয়ার ফেসবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাসে লেখা হয়েছে, আমার গুরুতর অ্যাজমা সমস্যা আছে। ঠাণ্ডা, ধুলা আর প্রচণ্ড মানসিক চাপের কারণে গত এক সপ্তাহে আমার তিনবার অ্যজমা অ্যাটাক হয়েছে। লজ্জা না করে খোলাখুলিই বলছি, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি আমি। আমাকে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় আমি বিছানা থেকে উঠতে পারিনি। সুস্থ হতে আরও খানিকটা সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে। ছন্দে ফিরতে প্রতিটি সেকেন্ড চেষ্টা করে যাচ্ছি। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে প্রতিনিয়ত।
স্পর্শিয়ার ফেসবুক পাতায় আরও লেখা হয়েছে, আমার রিউমেটিক ফেভারও আছে। এজন্য হাড়ের ব্যথায় কাতড়াচ্ছি। আমার অনেক পরিচালক, সহকর্মী এবং বন্ধু আমাকে ফোন করছেন। কিন্তু ফোন ধরে কথা বলার মতো অবস্থা আমার নেই। এজন্য আমার ব্যক্তিগত সহকারী সজীবের মাধ্যমে এই ফেসবুক স্ট্যাটাস দিলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। সুস্থ হওয়া মাত্রই সবাইকে কলব্যাক করবো। প্রয়োজনে দেখাও করবো। হাতে থাকা কাজগুলো অবশ্যই শেষ করে দেবো আমি।
স্পর্শিয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়ে তার মা সুজান হক বলেন, মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো স্পর্শিয়াকে। এখনও অসুস্থ সে। বিশ্রামে আছে। এজন্য আপাতত কোনো কাজ করতে পারছে না। পুরোপুরি সেরে উঠলে সে নিজেই সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজে ফিরবে।
এদিকে কিছুদিন আগেই স্পর্শিয়া বলেছিলেন, ভুলে ভরা জীবনটাকে নতুন করে সাজিয়ে নিতে বছর খানেকের বিরতি নিয়েছিলাম। এবার অতীত ভুলে নতুন করে কাজে ফিরছি আমি। কিন্তু এর মধ্যেই আবার ছন্দপতন। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে দ্রুত তিনি কাজে ফিরবেন- এমনটাই প্রত্যাশা সবার।